—প্রতীকী চিত্র।
গরম পড়তে না পড়তেই পানীয় জলের হাহাকার শুরু শহর কলকাতায়। শনিবার ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে দক্ষিণ কলকাতার দুই নাগরিক পানীয় জলের সঙ্কট নিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কাছে নালিশ করেন। যা শুনে মেয়র আশ্বাস দেন, তাঁদের বাড়িতে শীঘ্রই পুরসভার জল সরবরাহ দফতরের ইঞ্জিনিয়ারেরা পরিদর্শন করে ফেরুল, জলের পাইপ পরীক্ষা করবেন।
কলকাতা পুর এলাকার টালিগঞ্জ, যাদবপুর, কসবা, বাঁশদ্রোণী, বেহালায় যে জলের সমস্যা রয়েছে, তা গত মাসে পুরসভার বাজেট বক্তৃতায় স্বীকার করেছিলেন মেয়র। এ দিন বেহালা ও বাঁশদ্রোণীর দুই নাগরিক অভিযোগ করেন, তাঁদের বাড়িতে জল সরবরাহের পরিমাণ খুব কম। বাঁশদ্রোণীর ব্রহ্মপুরের ওই বাসিন্দার অভিযোগ, পানীয় জলে বিপুল পরিমাণ আয়রন থাকছে। তাঁর দাবি, ‘‘আশপাশের সবাই পুরসভার পরিস্রুত জল থেকে বঞ্চিত। গভীর নলকূপের জল খেতে হচ্ছে। আগে পুরসভার পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ করা হত। এখন আর হয় না।’’ স্থানীয় ১১৩ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধির আক্ষেপ, ‘‘এখনও আমাদের ওয়ার্ড গভীর নলকূপের উপরে নির্ভরশীল। লোকসংখ্যা বেড়ে চলায় জলের চাহিদাও বাড়ছে।’’
সমস্যা কেন মিটছে না? মেয়রের সাফাই, ‘‘পানীয় জলের সমস্যা নেই। যাঁরা অভিযোগ করছেন, তাঁদের বাড়িতে জলের পাইপ হয়তো ফেটে গিয়েছে বা ফেরুল পরিষ্কার নেই। তাই সমস্যা হচ্ছে।’’ তবে পুর জল সরবরাহ দফতরের আধিকারিকদের দাবি, পানীয় জলের অপচয় বন্ধ করলে এই সমস্যা আর থাকবে না।