ভাল শ্বশুরবাড়ি, বলতে হবে। নইলে কিশোরী বৌটির আঁকার ঝোঁক দেখে কে আর শান্তিনিকেতনে ভর্তি করে দেওয়ার কথা ভাবে! সে ১৯২৮ সাল। এক সন্ধেয় আশ্রমে এলেন, পুজোর ছুটি তখন, স্কুল, হস্টেল বন্ধ, তাই ঠাঁই হল কোণার্কে, রবীন্দ্রনাথের বাড়িরই ছোট্ট এক ঘরে! “অচেনা দেশে পথঘাট, লোকজন সবই অপরিচিত। রোজ প্রভাতে উঠে চুপচাপ বসে থাকতাম সিঁড়িতে একাকী। আমার এই নিঃসঙ্গ ভাব কবিমনে ব্যথিত করে তুলত, তাই তিনি স্নেহভরে রোজ একবার আমার মাথায় হাত বুলিয়ে আশীর্বাদ করে যেতেন।” স্মৃতিকথা-য় লিখেছেন নিভাননী তথা চিত্রনিভা চৌধুরী (১৯১৩-১৯৯৯)। রবীন্দ্রনাথেরই বদলে দেওয়া নাম, যে নামে নবজন্ম তাঁর শিল্পজীবনের।
আমাদের সৌভাগ্য, রবীন্দ্রনাথের ছবি আঁকার প্রধান যে পর্যায়, সেই সময়েই শান্তিনিকেতনে ছিলেন চিত্রনিভা। কবি, শিক্ষক, অভিভাবক রবীন্দ্রনাথ তো বটেই, চিত্রশিল্পী রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি লিখে রেখে গিয়েছেন— অল্প, কিন্তু অমূল্য। রবীন্দ্রনাথই তাঁকে পাঠান নন্দলাল বসুর কাছে। কাছ থেকে দেখেছেন রবীন্দ্রনাথের ছবি আঁকা: “কত সময় দেখেছি তাঁকে ফেলে দেওয়া খবরের কাগজের ওপরেই ছবি আঁকছেন।” চিত্রনিভার আঁকা ছবি দেখে মাথায় হাত দিয়ে বলেছিলেন, “তোমার শক্তি আছে, তুমি পারবে, আমি আশীর্বাদ করলুম।” তাঁর করা ডিজ়াইনের মাঝখানে লিখেছিলেন কবিতা: ‘যখন ছিলেম অন্ধ,/ সুখের খেলায় বেলা গেছে পাইনি তো আনন্দ।...’ শিল্পী কবির ব্যবহৃত রঙের দু’টি বাটি তাঁর কাছে ছিল আজীবন।
শিক্ষা-শেষে শিক্ষকও হলেন চিত্রনিভা— রবীন্দ্র-নির্দেশে, নন্দলাল বসুর নির্বাচনে। কলাভবনের প্রথম মহিলা শিল্প-অধ্যাপিকা তিনি। দিনকর কৌশিক, সুখময় মিত্র, সুকৃতি চক্রবর্তীরা তাঁর সময় ছাত্র। ছিলেন পাঁচ বছর, পরে ফিরে যান নোয়াখালি, সংসারে। ছবি এঁকেছেন, নন্দলাল বসুর নেতৃত্বে বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায়ের ম্যুরালের কাজে সাহায্য করেছেন, শ্রীসদনের দেওয়ালে ফ্রেস্কো, কালো মাটির বাড়ির দেওয়াল-ভাস্কর্যেও তাঁর শিল্পকৃতি। ওয়াশ, প্যাস্টেল, তেলরং, টেম্পেরা, উডকাট, লিনোকাট... প্রায় এক হাজার শিল্পকৃতি। রবীন্দ্রনাথের তো বটেই, প্রতিকৃতি এঁকেছেন দিনেন্দ্রনাথ, অবনীন্দ্রনাথ, নন্দলাল বসু, রামকিঙ্কর বেজ, মহাত্মা গাঁধী, জওহরলাল নেহরু-সহ অনেকের। এঁকেছেন বিয়ের পিঁড়ি-মঙ্গলঘট, আলপনা দিয়েছেন মাঘোৎসবে, কবির জন্মদিনেও (সঙ্গে রবীন্দ্রজন্মশতবর্ষে ২৫ বৈশাখে জোড়াসাঁকোয় রবীন্দ্রকক্ষে আলপনা দেওয়ার ছবি)। আজ, ২৭ নভেম্বর ১০৮তম জন্মদিন চিত্রনিভা চৌধুরীর। সেই উপলক্ষে অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টসের নর্থ গ্যালারিতে শিল্পীর চিত্রকৃতি ফের দেখার সুযোগ এই শহরের, শিল্পীকন্যা চিত্রলেখা চৌধুরীর উদ্যোগে। প্রদর্শনী ২৮ থেকে ৩০ নভেম্বর, বেলা ১২টা-রাত ৮টা। বিশিষ্টজনের উপস্থিতিতে উদ্বোধন আগামী কাল দুপুর ৩টেয়। ছবি সৌজন্য: চিত্রলেখা চৌধুরী
জীবনশিল্পী
সুধীরলাল চক্রবর্তী, দ্বিজেন চৌধুরীদের কাছে শিখে আইপিটিএ-র মঞ্চে অন্য গানের সঙ্গে স্বরচিত ব্যঙ্গগানও রাখতেন মিন্টু দাশগুপ্ত (১৯৩১-২০০৬)। সলিল চৌধুরী পরামর্শ দিলেন ব্যঙ্গগানই বেছে নিতে, বিধানচন্দ্র রায় বললেন বিনা পারিশ্রমিকে কদাপি না গাইতে। সেই শুরু। জলসা, ডিস্ক রেকর্ডে প্যারডি গানে পাঁচ দশক জুড়ে অজস্র রঙ্গগান উপহার দিয়েছেন বাঙালিকে। কৃতী বেসিক গানেও, রবীন্দ্র-জন্মশতবর্ষে প্রকাশিত ডিস্ক ‘কাঁটাবনবিহারিণী’ বা নতুন ফসলের ‘আহা হৈমবতী শিবসোহাগী’ আজও জেগে আছে সুররসিকের স্মৃতিতে। কন্যা মুনমুন বসু বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা গান নিয়ে যে গবেষণা করেছেন, তার একটি অধ্যায় মিন্টুবাবুকে নিয়েই। ‘নীল আকাশের নীচে আছে কত দেশ/ শুধু আমাদের ঘরে আছে হা-হুতাশ/ তুমি শুনেছ কি?’-র জীবনশিল্পী মিন্টু দাশগুপ্তর ৯০তম জন্মদিন পেরোল ২৫ নভেম্বর।
বর্ণময়
বিদ্যাচর্চার পরিসরে তাঁর বহু পরিচয়— অধ্যাপক, প্রাবন্ধিক, গবেষক। কিন্তু কেজো জগতের বাইরে নির্মল আড্ডা ছিল তাঁর প্রাণ। প্রয়াণের দেড় বছর পর কন্যা নন্দিনী ও পুত্র নীলকমলের উদ্যোগে প্রকাশিত হল স্মারকগ্রন্থ অরুণ সেন, ভরা ব্যক্তিগতের ছোঁয়ায়। মৃত্যুচিন্তা ছিল না, বরং নিজের স্মরণসভার পরিকল্পনাও রসিয়েই করেছিলেন, জানা গেল। অভ্র ঘোষ, আবুল হাসনাত, স্বপ্না দেব প্রমুখের স্মৃতিচারণে বর্ণময় এক জীবনের কথা। তাঁর মেধাচর্চার পিছনে যে আবেগ ছিল, যে ভালবাসায় তিনি আপন করে নিয়েছিলেন বিষ্ণু দে বা বাংলাদেশকে, ঘনিষ্ঠবৃত্তের কলমে সে সব খবর।মুদ্রিত তাঁর জীবনের নানান পর্যায়ের ছবি, ফেলে আসা দশকের বিদ্বজ্জন-সমাজের মুহূর্তরাও।
পূর্ণ বৃত্ত
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঁকা শেখার গল্পটা বেশ মজার। নর্মাল স্কুলে পড়ার সময় দেখেন, ছাত্রদের আঁকা শেখানো হচ্ছে, পাড়ার বন্ধু ভুলু সেখানে। স্কুলের পর ভুলুকে ধরেই প্রথম কুঁজো, গ্লাস আঁকতে শেখা। সেই মানুষেরই পরে প্রথাগত শিক্ষার পথ পেরিয়ে শিল্পাচার্য হয়ে ওঠা, শেষ জীবনে ফের নতুন করে সৃষ্টির সহজ আনন্দ খুঁজে নেওয়া, এ যেন পূর্ণ এক বৃত্ত। অবনীন্দ্রনাথের জন্মসার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে ১৯ নভেম্বর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দিরের সংস্কৃতি বিভাগের উদ্যোগে হল আন্তর্জালিক আলোচনাচক্র, অবনীন্দ্র-শিল্পজীবনের নানা দিক আলোকিত করলেন বসুমিত্র মজুমদার, স্বাতী ভট্টাচার্য ও স্বামী শিবপ্রদানন্দ। সহযোগিতায় রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠ, পুরুলিয়া। হল কুটুম কাটামের প্রাথমিক পাঠের কর্মশালাও, সিতাংশু মণ্ডলের পরিচালনায়। আলোচনা অংশটি শোনা যাচ্ছে বিদ্যামন্দিরের ইউটিউব চ্যানেলে।
মগ্নজীবন
মন্দির স্থাপত্যের ইতিহাস আবিষ্ট করে রেখেছিল তাঁকে। পুরালেখবিদ-ঐতিহাসিক দীনেশচন্দ্র সরকারের কাছে গবেষণা, গোড়ায় স্কুল ও পরে সংস্কৃত কলেজে চাকরির পরে যোগ দিলেন কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে, তত দিনে দীপকরঞ্জন দাস (১৯৩৯-২০২১) প্রাচীন ভারতের স্থাপত্যের ইতিহাস চর্চায় নিমগ্ন। ভারতীয় স্থাপত্য শিল্পের অনুশীলনে নির্মলকুমার বসু প্রবর্তিত ক্ষেত্রসমীক্ষা-নির্ভর ও মন্দিরের ‘শারীরবিদ্যা’-কেন্দ্রিক গবেষণার ধারা তাঁকে গভীর প্রভাবিত করেছিল। পশ্চিম ও উত্তর ওড়িশা এবং সীমান্ত বাংলায় অক্লান্ত ক্ষেত্রানুসন্ধান করেছেন, সঙ্গী কখনও তারাপদ সাঁতরা বা ডেভিড ম্যাককাচ্চন। লিখেছেন টেম্পলস অব রানিপুর-ঝরিয়াল, টেম্পলস অব ওড়িশা-র মতো বই, ইংরেজি ও বাংলায় বহু প্রবন্ধ। গত ২৪ অক্টোবর চলে গেলেন প্রচারবিমুখ এই প্রতিভা।
একসূত্রে
কোভিড পাল্টে দিয়েছে জীবন। সাংস্কৃতিক জীবনে অংশত বা পূর্ণত বন্ধ ছিল অনেক কিছুই— সংগ্রহশালা বা মিউজ়িয়াম যেমন। একটু একটু করে খুলেছে, খুলছে সে সব, আর সেই সঙ্গে দেখা দিয়েছে নতুন প্রশ্ন: মিউজ়িয়ামের ভবিষ্যৎ তা হলে কী? অতিমারিকাল ঝেড়ে উঠে দাঁড়ানো, আগামী দিনের রূপরেখাই বা কেমন? এই ভাবনা থেকেই এক নতুন উদ্যোগ করল ‘পশ্চিমবঙ্গ সংগ্রহালয় সমিতি’। কলকাতা সেন্টার ফর ক্রিয়েটিভিটি-র (কেসিসি) প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষণায়, কেসিসি প্রাঙ্গণে ১৯-২৫ নভেম্বর হয়ে গেল ১৫টি মিউজ়িয়াম, শিল্প প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিগত সংগ্রহের সম্মিলিত প্রদর্শনী ‘ক্লাস্টার অব মিউজ়িয়াম’। ছিল গাঁধী স্মারক সংগ্রহালয়, প্রশান্তচন্দ্র মহলানবীশ মেমোরিয়াল মিউজ়িয়াম, বোট্যানিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া, কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের জ়ুলজি বিভাগের সেন্টিনারি মিউজ়িয়াম, এসবিআই আর্কাইভ, সুন্দরবন আঞ্চলিক সংগ্রহশালা, রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অব কালচার মিউজ়িয়াম, বিষ্ণুবাটির মিউজ়িয়াম অব সাঁওতাল কালচার, সোসাইটি ফর হেরিটেজ আর্কিয়োলজি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট-এর সংগ্রহ; আলপনা, আলোকচিত্র, শিল্পী সমর ভৌমিকের চিত্রকৃতি। ছিল শিল্পী, শিল্প-বিশেষজ্ঞ, সংগ্রহশালার আধিকারিকদের আলোচনা, প্রতিদিন। ছবিতে প্রাক-মৌর্য যুগের টেরাকোটা প্রত্নবস্তু, দেবলগড় থেকে প্রাপ্ত।
প্রথম দেখা
হেমন্তের শুরুতে পুরুলিয়ার প্রত্যন্ত গ্রাম বারাগোড়া থেকে এগারো জন ছেলেমেয়ে সহদেব বাস্কের নেতৃত্বে মাতিয়ে গেল মুক্তঅঙ্গন মঞ্চ। আখ্যানকার সুনীল দাশ প্রতিষ্ঠিত ‘আগামী’ সংস্থা তাদের নিয়ে এসেছিল ‘সংবর্ত’ নাট্যগোষ্ঠীর মহলাঘরে। শান্তনু গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশনায় পাঁচ দিন ধরে চলল নাট্যপ্রশিক্ষণ কর্মশালা। ইকোফেমিনিজ়ম নিয়ে অমাজিৎ বসুর লেখা বাংলা নাটকের সাঁওতালি অনুবাদ ‘তির্ল্লা চেতাং’-এর মহড়া, অনুবাদক রাবণ টুডু। ফাঁকে ফাঁকে হাতের কাজ, আঁকার ক্লাস। কোনও দিন পুরুলিয়া শহর বা মঞ্চ চোখে-না-দেখা এই সব ছেলেমেয়েরা কোন দূরস্থান থেকে এসে সাবলীল অভিনয়ে আর মাদলের বোলে মঞ্চ ভরিয়ে তুলেছিল। নাটকীয় মুহূর্তগুলো আলোয় জীবন্ত করে তুলেছিলেন বাবলু সরকার। আগামী-র সম্পাদিকা দেবকল্পা বসুদাশ জানালেন, খুব শিগগিরই ওদের দিয়েই নাটকটি বাংলায় মঞ্চস্থ করাবেন।
পাখিরা
১৯৯০ সালে তৈরি হয়েছিল পাখিরা। শিবানন্দ মুখোপাধ্যায়, অসীম চৌধুরী, দেবাশিস চক্রবর্তীর এই তথ্যচিত্র ‘থার্ড থিয়েটার’ বা মুক্ত থিয়েটার আন্দোলনের এক প্রামাণ্য দলিল, যে ধারার পথিকৃৎ নাট্যকার-শিল্পী বাদল সরকার। ৪৫ মিনিটের এই তথ্যচিত্রের অনেকটা জুড়ে বাদল সরকারের অভিনয়, ভাষ্যে স্বকণ্ঠে ঘোষিত তাঁর অনুভব, প্রকৃতপক্ষে যা থার্ড থিয়েটারের ইস্তেহারই। ছবিতে ব্যবহৃত ভোমা, স্পার্টাকুস, খাট-মাট-ক্রিং, মিছিল, ত্রিংশ শতাব্দী নাটকের অংশও। সেলুলয়েডে তৈরি এ ছবি জীর্ণ ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, প্রয়োজন ছিল ডিজিটাল উদ্ধারের। সেই জরুরি কাজই হয়েছে নাট্যব্যক্তিত্ব দেবেশ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা ঘোষ-সহ অনেকের উদ্যোগে, এ বার দেখানোর পালা। ৩ ডিসেম্বর, শুক্রবার সন্ধে সাড়ে ৫টা ও ৭টায় পশ্চিমবঙ্গ নাট্য আকাদেমির তৃপ্তি মিত্র নাট্যগৃহে দেখানো হবে পাখিরা, ‘বাদল সরকার নাট্যচর্চা কেন্দ্র’ এবং ‘শতাব্দী’, ‘ব্রীহি’, ‘পথসেনা’, ‘আয়না’, ‘অন্যকণ্ঠ’ দলের উদ্যোগে। ছবি পোস্টার থেকে।
পঞ্চমে
মেলা ছুঁল পাঁচ বছর, শিরোনাম তাই ‘বেজে ওঠে পঞ্চমে সুর’, রবীন্দ্রবাণী একটু পাল্টে। ‘দেবভাষা বই ও শিল্পের আবাস’-এ বার্ষিক শিল্পমেলা ২৫-২৯ নভেম্বর, ৩টে-সাড়ে ৮টা। আছে বাংলার প্রবীণ-নবীন শিল্পীদের কাজ: ছবি, ভাস্কর্য, টেরাকোটা, সেরামিক্স, কোলাজের পাশে চিত্রিত পোস্টকার্ড ও বই-ব্যাগ, ডোকরা, পুতুল, পোস্টার, আলপনাচিত্র। সঙ্গে প্রদর্শনী, লালুপ্রসাদ সাউয়ের গ্রাফিক্স ও বিমূর্ত কাজ। শিল্পীর সাক্ষাৎকার-বইয়ের ইংরেজি ভাষান্তর প্রকাশ পাচ্ছে, যোগেন চৌধুরীর একশো চিত্রকৃতি নিয়ে সাম্প্রতিক প্রদর্শনীর ছবি-বইও। ‘এক কিউরেটরের গল্প’ বলবেন সুশোভন অধিকারী, আজ সন্ধে ৬টায়।