নির্বাচনী জনসভায় ভাবী মেয়র হিসেবে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে তুলে ধরলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: দেবাশিস রায়।
পুরভোটের প্রথম প্রচার সভায় জনতার কাছে মুখ্যমন্ত্রী জিজ্ঞাসা করছেন, ‘‘এত কম সময়ে অন্য আর কোনও শহর এমন পরিষ্কার হয়েছে?’’ ফের প্রশ্ন করছেন, ‘‘আমরা ক্ষমতায় আসার সাড়ে তিন বছরের মধ্যে কলকাতা পরিষ্কার হয়েছে কি হয়নি?’’ সমবেত ভিড়ের মিলিত জবাব, ‘‘হ্যাঁ।’’
কলকাতা পুরসভার পুর-পরিষেবায় ‘সন্তুষ্ট’ মমতা শুক্রবার বড়বাজারের সত্যনারায়ণ পার্কের সভায় এর পরেই দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরুর সঙ্গে কলকাতার তুলনা করে ঘোষণা করেন, ‘‘মুম্বই, বেঙ্গালুরুতে যানজটে আটকে থেকেছি। চ্যালেঞ্জ নিয়ে বলছি, কলকাতা সারা বিশ্বের সেরা শহর। ভারত সেরা শহর।’’ তৃণমূল জমানায় কলকাতার রাস্তাঘাট পরিষ্কার করার পাশাপাশি ত্রিফলা আলোয় শহর সাজানো, পার্ক, গঙ্গার সৌন্দর্যায়ন হয়েছে বলে নিজেই দাবি করেন মমতা।
বাম জমানায় শহরবাসীকে বৃষ্টির জমা জলে দুর্ভোগ পোহাতে হতো, সেই অভিযোগ তুলে এ দিন বামেদের আক্রমণ করেন মমতা। প্রাক্তন বাম মেয়র বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের নামোল্লেখ না করে মমতার বক্তব্য, ‘‘সাত-আট দিন এক কোমর জলে ডুবে থাকত কলকাতা। তখন তো আপনার টিকিও খুঁজে পাওয়া যেত না!’’
বামেরা কলকাতায় জলকর ধার্যের পক্ষে থাকলেও তৃণমূল তা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। পুরভোটের প্রাক্কালে সে কথা এ দিন ফের কলকাতাকে মনে করিয়ে দিয়ে মমতা বলেন, ‘‘শহরকে নীল-সাদা করেছি বলে কিন্তু ভোট চাইতে আসিনি।’’ তাঁদের জমানায় শহরের একের পর এক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি বুঝিয়ে দেন, পরিষেবার বিনিময়েই ভোট চাইছেন শহরবাসীর কাছে। আগামী দিনে শহরকে আরও সুন্দর করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এর পরেই তিনি ঘোষণা করেন, ‘‘আগামী দেড় বছরের মধ্যে লন্ডন আইয়ের মতো কলকাতা আই-ও তৈরি হয়ে যাবে। টেন্ডার হয়ে গিয়েছে। কাজ শুরুর মুখে।’’