মুদ্রা প্রদর্শনীতে রয়েছে নোটও। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী।
নেপালের বিভিন্ন রাজবংশ— ত্রিভুবন, মহেন্দ্র, দেবেন্দ্র এবং জ্ঞানেন্দ্রর সময়কালের বিভিন্ন মুদ্রা ও নোট নিয়ে কলকাতায় এসেছেন নেপালের বাসিন্দা দীনেশ রাজমাস্ক। সঙ্গে রয়েছে আরও বহু প্রাচীন মুদ্রার সংগ্রহ। ত্রিভুবন রাজবংশের রাজত্বকালের একটি ১০ নেপালি টাকার নোটের দাম যেমন চার হাজার টাকা। কলকাতার প্রদর্শনীতে শুধু সেই সব মুদ্রা ও নোটের প্রদর্শনই নয়, বিক্রিও হবে বলেও আশাবাদী দীনেশ। বলছেন, ‘‘কলকাতার মানুষেরা প্রাচীন নোট এবং মুদ্রার কদর করেন। এখানে এসে খুব ভাল লাগছে।’’
গত ২৩ বছর ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে একক ভাবে মুদ্রা প্রদর্শনী করছে কলকাতা মুদ্রা পর্ষদ। এ বারই প্রথম নেপাল মুদ্রা পর্ষদের সঙ্গে যৌথ ভাবে তিন দিনের মুদ্রা প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে তারা। বালিগঞ্জের একটি ব্যাঙ্কোয়েট হলে শুক্রবার থেকে শুরু হয়ে আজ, বড়দিন পর্যন্ত ওই প্রদর্শনী চলবে। প্রদর্শনীতে রয়েছে প্রাচীন মুদ্রার সংগ্রাহক এবং গবেষক সুমিত্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজস্ব সংগ্রহের সম্ভার— এমনকি নেপালের প্রাচীন মুদ্রা লিচ্ছবিও। তাঁর সংগ্রহের বিষয়বস্তু নেপালি মুদ্রায় হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মের প্রভাব।
প্রদর্শশালার একাংশ জুড়ে চলছে মুদ্রা কেনাবেচাও। তবে সেখানে চাহিদা বেশি প্রাচীন ভারতীয় মুদ্রার। কলকাতা মিন্টের স্টলে রয়েছে পাঁচ গ্রামের সোনার মুদ্রা, যার দাম ২৮,৬৮৬ টাকা। অক্ষয় তৃতীয়ার দিন বেরিয়েছিল ওই মুদ্রাটি।
কলকাতা মুদ্রা পর্ষদের সেক্রেটারি তথা মুদ্রা সংগ্রাহক রবিশঙ্কর শর্মা বলেন, ‘‘দেশের যেখানেই মুদ্রার প্রদর্শনী হয়, সেখানেই চলে যাই। এই ভাবে নিজের সংগ্রহ বাড়ছে। সার্ক অন্তর্ভুক্ত দেশগুলিতেওভবিষ্যতে এই প্রদর্শনী করার ইচ্ছা রয়েছে আমাদের। মার্চে কাঠমান্ডুতে এই প্রদর্শনী হবে।’’