থমকে: ইয়াসের জন্য বন্ধ উড়ান চলাচল। বুধবার, কলকাতা বিমানবন্দরে। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক
তীব্র ঝোড়ো হাওয়ার আশঙ্কায় বুধবার বন্ধই করে দেওয়া হয়েছিল কলকাতা বিমানবন্দর। যদিও শেষ পর্যন্ত তেমন ঝড় হয়নি, ছিল না তেমন বৃষ্টিও। বিমানবন্দর বন্ধ থাকবে বলে আগে থেকেই সমস্ত উড়ান বাতিল করেছিল উড়ান সংস্থাগুলি। বুধবার কলকাতা বিমানবন্দর যতটুকু সময় খোলা ছিল, তখন ইন্ডিগো ছাড়া কার্যত আর কোনও সংস্থাই যাত্রী উড়ান চালায়নি।
এর আগে ফণী-র সময়ে একই কাণ্ড হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। তখন অবশ্য যাত্রী ছিল অনেক বেশি। এখন যাত্রী অনেক কম। বিমানবন্দরের এক কর্তার কথায়, “মঙ্গলবারও বৃষ্টি হয়েছে বেশি। রাতের দিকে ঝোড়ো হাওয়া দিচ্ছে দেখে আমরা যন্ত্রপাতি সব সরিয়ে বেঁধে রেখে দিয়েছিলাম। বুধবার খুব হাল্কা বৃষ্টি হয়েছে।’’
এ দিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বন্ধ হয়ে যায় বিমানবন্দর। তার আগে শহর থেকে যাত্রীদের নিয়ে ইন্ডিগোর মাত্র দু’টি উড়ান দিল্লি ও বিশাখাপত্তনম উড়ে যায়। একটি বিমানও শহরে এসে নামেনি। হাতে গোনা জনা কুড়ি যাত্রী রাত থাকতেই এসে অপেক্ষা করছিলেন বিমানবন্দরের বাইরে। তাঁদের কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে খাবারও দেওয়া হয়।
পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে রাত পৌনে ৮টার বদলে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টাতেই খুলে দেওয়া হয় বিমানবন্দর। তবে, তার পর থেকে রাত পর্যন্ত একমাত্র আমদাবাদের একটি উড়ান ছাড়ার ছিল। সেই বিমানটি আমদাবাদ থেকে যাত্রীদের নিয়ে এসে আবার ফিরে যায়। এ ছাড়াও দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু থেকে ইন্ডিগোর আরও তিনটি উড়ান যাত্রীদের নিয়ে রাতে কলকাতায় নামে। সেগুলি অবশ্য আর ফেরত যায়নি।
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, যাত্রী উড়ান ছাড়া এ দিন রাতে তিনটি পণ্য বিমানও এসেছে কলকাতায়। তার মধ্যে স্পাইসজেটের একটি বিমান মুম্বই থেকে এসে চিনের ইউহান এবং একটি হায়দরাবাদ থেকে এসে চিনের গুয়াংঝাও উড়ে যায়।