—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ভিআইপি রোড এবং কৈখালি এলাকার নিকাশি ও যানজটের সমস্যা বিপাকে ফেলছে কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে। বর্ষার মরসুমে কৈখালি মোড় সংলগ্ন স্লিপ রোডের (মূল রাস্তার সংযোগকারী রাস্তা) দুরবস্থা প্রায়ই যানজটের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। রাস্তার এই সমস্যা ছাড়াও বিমানবন্দরের এক নম্বর গেট লাগোয়া অংশে রাজপথে বাস, অটো দাঁড়িয়ে থাকার ফলে বহু যাত্রীর বিমানবন্দরের দিকে যেতে অসুবিধা হচ্ছে বলেও অভিযোগ। কলকাতা বিমানবন্দরের পরিকাঠামো এবং পরিচালন ব্যবস্থা উন্নত করার স্বার্থে সংস্থার উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এমনই একাধিক বিষয় নিয়ে উদ্বেগের কথা শোনা গিয়েছে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে। ওই উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান দমদমের সাংসদ সৌগত রায়। বৃহস্পতিবার কমিটির বৈঠকে সাংসদ, বিমানবন্দরের ডিরেক্টর প্রভাতরঞ্জন বেউরিয়া ছাড়াও স্থানীয় পুরসভা, পুলিশ এবং রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সেখানেই বাগুইআটি এবং কৈখালি এলাকায় অবৈধ দখলদারির জেরে নিকাশি ব্যবস্থার অবনতির কথা জানান বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি অতিবৃষ্টির জেরে বিমানবন্দরের একাধিক পার্কিং বে জলমগ্ন হয়ে পড়ে। বিমানবন্দরের পরিসর থেকে দ্রুত জল বার করে দেওয়ার চেষ্টা হলেও লাগোয়া কৈখালি এলাকার নিকাশি সমস্যার জেরে জল সরতে অনেক দেরি হয়। এর ফলে বিমান চলাচল অসুবিধার মুখে পড়ে।
বিমানবন্দরের সীমানা প্রাচীর ঘেঁষে বিপজ্জনক ভাবে একের পর এক বহুতল গড়ে ওঠা নিয়েও অভিযোগ জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় পুরসভাগুলিকে এ বিষয়ে সতর্ক হওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।
বিধাননগর পুলিশের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দমদম এলাকায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে লেজ়ার আলো ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এর ফলে
বিমান ওঠানামার সময়ে চালকেরা বিপাকে পড়ছেন বলে জানানো হয়েছে। বিষয়টি যাত্রী-সুরক্ষার নিরিখে উদ্বেগের বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
এ ছাড়াও, বিমানবন্দর এলাকার মধ্যে থাকা পুরনো, বাতিল গাড়ি সরানোর আর্জিও জানিয়েছেন তাঁরা। মেট্রো প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য বিমানবন্দর থানা সাময়িক ভাবে সরানো নিয়েও আলোচনা হয়। থানা সরানোর জন্য বিকল্প জায়গার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে খবর। আরও জানানো হয়েছে, কলকাতা বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক উড়ানের সংখ্যা বাড়াতে রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে যৌথ ভাবে কাজ করবেন কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় বিভিন্ন সমস্যা প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে মেটানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে
সূত্রের খবর।