ফাইল চিত্র।
চলতি বছর পূর্ণ হচ্ছে পথ চলার অর্ধ শতক। কিন্তু করোনা আবহে তা ঘটা করে পালন না করে অন্য ভাবে উদ্যাপন করতে চলেছে কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)। জন্মজয়ন্তী পালন করতে ৫০টি পরিষেবামূলক প্রকল্প উদ্বোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওই সংস্থা। কিছু প্রকল্প ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে এবং কিছু ক্ষেত্রে শিলান্যাস করে কাজ শুরু হবে।
কেএমডিএ-র সূচনা হয়েছিল ১৯৭০ সালের ফেব্রুয়ারিতে। কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, ২০২০-র ফেব্রুয়ারি থেকে বছরব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠান করে আগামী বছর সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনের সমাপ্তি হওয়ার কথা ছিল। সংস্থা সূত্রের খবর, ২০২০ সালে কেএমডিএ-র সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষের কথা মাথার রেখে দু’বছর আগে বিশেষ কমিটি গঠন হয়েছিল। ওই কমিটির তরফে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের কাছে কর্মশালা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আবেদনও করা হয়েছিল। তাতে সম্মতি মিলেছিল। কিন্তু করোনা আবহে সেই সমস্ত অনুষ্ঠান বাতিল হয়ে যায়।
সংস্থা সূত্রের খবর, করোনা সংক্রমণের গোড়া থেকেই নতুন প্রকল্প শুরু করা যায়নি। এমনকি পুরনো সমস্ত প্রকল্প যা দ্রুত শেষ করার কথা ছিল, সে সব কিছুই থমকে যায়।
বর্তমানে কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটির অধীন ৪৩টি পুরসভা এবং ৪টি নিগম রয়েছে। ওই এলাকাগুলিতেই বস্তির উন্নয়ন, পানীয় জলপ্রকল্প, রাস্তাঘাট সংস্কার, নিকাশি-সহ বিভিন্ন পরিষেবামূলক কাজ করে কেএমডিএ। ৫০টি প্রকল্পের মধ্যে সেই কাজগুলিকেই প্রাধান্য দিয়ে করা হবে। এ ছাড়াও নতুন প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে। আগে কলকাতা উন্নয়ন সংস্থা (কেআইটি) স্বতন্ত্র ভাবে কাজ করত। কিন্তু তিন বছর আগে ২০১৭ সালে ওই সংস্থা কেএমডিএ-র সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাওয়ার ফলে এখন তাদের কাজও করছে বর্তমান সংস্থা। সেই কাজগুলিকেও নতুন প্রকল্প পরিকল্পনায় ধরা হয়েছে।
কেএমডিএ-র অর্ধশতক উদ্যাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রাণবন্ধু নাগ বলেন, “কমিটির তরফ থেকে মন্ত্রী এবং কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি আগেই দেওয়া হয়েছে। চলতি মাসে এবং নতুন বছরে কমিটি কেএমডিএ অধীনস্থ এলাকায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করবে।”
রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “কেএমডিএ-র অর্ধশত জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ৫০টি প্রকল্পের সূচনা হবে। মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়ে জনহিতকর প্রকল্পগুলির উদ্বোধন করার কথা ভাবা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দফতরকে সেই পরিকল্পনা তৈরি করার নির্দেশ ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে।”