এই অংশের সমীক্ষা করবে কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ।—ফাইল চিত্র।
পোস্তা উড়ালপুলের যে অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি তার কাঠামোগত অবস্থা জানতে সমীক্ষার কাজ শুরু করা হবে। সমীক্ষার রিপোর্ট জমা পড়ার পরেই ওই অংশের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। সমীক্ষার জন্য বহিরাগত একটি সংস্থাকেও নিয়োগ করা হবে।
কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)-র এক আধিকারিক জানান, ওই উড়ালপুলের যে অংশ ভেঙে পড়েনি সেই অংশের বর্তমান কাঠামো কতখানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে রয়েছে, তা জানা নেই। ওই কাঠামো ভাঙতে গেলে কোথা থেকে কী ভাবে ভাঙা হবে সেই ব্যাপারে পরীক্ষা না করে কোনও পদক্ষেপ করা সম্ভব নয়।
কেএমডিএ সূত্রের খবর, ওই উড়ালপুলের ভেঙে পড়া অংশের সমীক্ষা করা হয়েছিল অনেক আগেই। ক্ষতিগ্রস্ত অংশটি সমীক্ষার পরে ভেঙে ফেলতে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। নিয়ম মেনে ভেঙে পড়া উড়ালপুলের অংশ সরিয়ে দেওয়া হয়। তার পরেই প্রশ্ন ওঠে, যে অংশটি ভেঙে পড়েনি, সেটি কী অবস্থায় রয়েছে?
স্থানীয় বাসিন্দা-সহ আধিকারিকদের একাংশ অভিযোগ করেছেন, ক্ষতিগ্রস্ত অংশ তো বটেই। বাকি অংশও যে কোনও সময়ে ভেঙে পড়ে বিপদের আশঙ্কা রয়েছে। সুতরাং বাকি অংশটিও ভেঙে ফেলা প্রয়োজন। তার পরেই টনক নড়ে প্রশাসনের। কেএমডিএ-র আধিকারিকেরা প্রাথমিক ভাবে ওই পোস্তা উড়ালপুলের অক্ষত অংশের যে সমীক্ষা করেছেন তাতে ওই অংশটির অবস্থা আপাতত খারাপ নয় বলেও জানিয়েছেন। তবু কোনও ভাবেই কর্তৃপক্ষ ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। সেই কারণেই বাহিরাগত সংস্থা নিয়োগ করে উড়ালপুলের ক্ষেত্রে পরামর্শ নেওয়া হবে। কয়েক মাস আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, উড়ালপুলের অক্ষত অংশের সেতুর গার্ডার ধীরে ধীরে নামানো হবে। তার পরে বিষয়টি আটকে যায়।
কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ জানান, ওই সেতু ভেঙে পড়ার পরেই রাজ্যের পূর্ত দফতরকে ওই উড়ালপুলের রক্ষণাবেক্ষণ এবং প্রয়োজন মতো ব্যবস্থা গ্রহণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। পরে পূর্ত দফতরের থেকে ফের কেএমডিএ ওই অংশের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেয়। কর্তৃপক্ষের দাবি, ‘রাইটস’ এবং পূর্ত দফতর অক্ষত অংশটি ভাঙার বিষয়ে কোনও উল্লেখ করেনি। তার ফলেই তাঁরা উড়ালপুল ভাঙা থেকে বিরত থাকেন।