—ফাইল চিত্র।
নিজেদের কোন কোন জমি ফাঁকা পড়ে রয়েছে, তা চিহ্নিত করতে চাইছে কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)। সংস্থার আধিকারিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জমি চিহ্নিত করে সেখানে সাইনবোর্ড লাগানো হবে। যাতে সবাই বুঝতে পারেন সংশ্লিষ্ট জমিটি কেএমডিএ-র।
‘ইস্ট কলকাতা এরিয়া ডেভেলপমেন্ট প্রোজেক্ট’-এর (ইকেএডি) অন্তর্গত পড়ে থাকা জমিগুলি প্রাথমিক ভাবে চিহ্নিত করতে চাইছে কেএমডিএ। প্রথমে কসবা মৌজার অন্তর্গত এমন জমি চিহ্নিত করা হবে। এমনিতে ইকেএডি প্রকল্পের অধীনে লস্করহাট, নোনাডাঙা ও কসবা মৌজা পড়ে। সংস্থার তথ্য বলছে, ইকেএডি প্রকল্পে অধিগৃহীত মিউটেশন করা জমির মোট পরিমাণ প্রায় ৪৩৯ একর। বিভিন্ন সময়ে ওই জমিগুলি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। তার মধ্যে কসবা মৌজায় মিউটেশন করা জমির পরিমাণ সর্বাধিক, ৩০৪.৩৭ একর। লস্করহাট ও নোনাডাঙায় ওই জমির পরিমাণ যথাক্রমে ২৫.৭ একর ও ১০৮.৫২ একর। সংস্থার এক কর্তার বক্তব্য, ‘‘কসবা মৌজায় ফাঁকা জমি চিহ্নিত করে সেখানে সাইনবোর্ড লাগানো হবে প্রাথমিক ভাবে।’’
এমনিতে শুধু কেএমডিএ নয়, একাধিক সরকারি সংস্থার কাছেই পড়ে থাকা জমি মাথাব্যথার কারণ। প্রশাসনের কর্তাদের একাংশের বক্তব্য, ফাঁকা জমি পড়ে থাকতে দেখলেই সেখানে জঞ্জাল-আবর্জনা ফেলা শুরু হয়। ক্রমশ সেই জমি কার্যত ছোটখাটো ভাগাড়ে পরিণত হয়। আবার অনেক ক্ষেত্রে জমিটি কোন সংস্থার তা বোঝা যায় না। তখন প্রকল্প রূপায়ণের জন্য জমি খুঁজতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। কেএমডিএ-র এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘সে কারণে জমি চিহ্নিতকরণের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট জমি কী অবস্থায় রয়েছে, তারও রিপোর্ট তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’