নিজস্ব জমি কত, জানতে ল্যান্ডব্যাঙ্ক গড়বে কেএমডিএ

প্রশ্ন ওঠে, জমি উদ্ধার সহজ হলেও জমি ঘেরার কাজে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন।

Advertisement

কৌশিক ঘোষ

শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০১৯ ০৩:৩০
Share:

নিজস্ব পরিত্যক্ত জমি কত, অনেক ক্ষেত্রে তার হিসেব নেই কেএমডিএর নিজের কাছেই। সেই সব জমির বর্তমান অবস্থা কী তা জানতে এ বার ল্যান্ড ব্যাঙ্ক তৈরি করবে কেএমডিএ।শুধু ল্যান্ড ব্যাঙ্কই নয়, জমি যাতে জবরদখল না হয়ে যায় তাই জমির সীমানা ঘিরে দেওয়ার জন্য রাজ্য প্রশাসন থেকে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। নতুন করে নির্দেশিকা জারির ভিত্তিতে আপাতত কসবা, গল্ফ গার্ডেন্স এবং রসা রোডে প্রায় ৪৫ কাঠা জমি উদ্ধার করা হয়েছে। এই মোট জমি ৬ টি প্লট নিয়ে তৈরি।

Advertisement

এই জমিগুলির কিছু অংশ জবরদখল হয়েছিল। ফলে এখনও যে সব জমি ফাঁকা পড়ে রয়েছে সেগুলিও ইতিমধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছে বলে কেএমডিএ-র এক আধিকারিক জানান। আপাতত, প্রথম পর্যায়ে দক্ষিণ কলকাতায় জমি ঘেরার কাজ হবে। পরে সেই কাজ হবে উত্তর এবং পূর্ব কলকাতাতেও।রাজ্যের নগরোন্নয়ন দফতর সূত্রের খবর, শহরের বেশির ভাগ জমি তৎকালীন কলকাতা উন্নয়ন পর্যদ বা কেআইটির মালিকানাধীন ছিল। সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পেই এই জমি ব্যবহার করা হত। বছর দু’য়েক আগে কেআইটি এবং কেএমডিএ মিশে যাওয়ার পরে জমির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কেএমডিএ-র উপরে বর্তায়। পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর যে সমীক্ষা করেছিল তা থেকেই উঠে এসেছিল বেশির ভাগ অব্যবহৃত জমি জবরদখল হয়েছিল। সেই জমি খালি না করার ফলে অনেক সরকারি প্রকল্প আটকে গিয়েছিল। এ ছাড়াও বিভিন্ন কারণে আবাসন ও অন্যান্য প্রকল্পে কেএমডিএ তাদের জমি ব্যবহার করতে পারে না। তাই এ বার জমি ঘিরে ল্যান্ডব্যাঙ্ক তৈরির এই সিদ্ধান্ত।

নগরোন্নয়ন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন সময়ে তৎকালীন কেআইটি বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নমূলক অথবা সমাজসেবামূলক কাজে তাদের জমি বরাদ্দ করেছে। কিন্ত পরবর্তী সময়ে জমিগুলি আর ব্যবহার হয়নি। ফলে, সেগুলি খালি পড়ে রয়েছে। সেই সমস্ত ফাঁকা জমি যাতে ফেরত পেতে সংশ্লিষ্ট দফতরকে উদ্যোগী হতে বলা হয়েছে।

Advertisement

প্রশ্ন ওঠে, জমি উদ্ধার সহজ হলেও জমি ঘেরার কাজে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। অথচ জমি না ঘিরলেই সেটি জবরদখল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার ঘেরার জন্য যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন তা না থাকায় পর্যায়ক্রমে সব কাজ করা হচ্ছে।

উন্নয়ন সংস্থা যুক্ত সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রাণবন্ধু নাগ বলেন, ‘‘বহু দিন আগেই সংগঠনের তরফ থেকে কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়ে বলা হয়েছে। ল্যান্ডব্যাঙ্ক থাকলে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে জমি ব্যবহার করা যায়। এমনকি জমি বিক্রি করলে সংস্থারই আর্থিক লাভ।’’

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement