প্রতীকী ছবি।
উল্টোডাঙা উড়ালপুলে ফাটল ধরা পড়েছিল বাঁকের অংশে। চিংড়িঘাটা উড়ালপুলের ক্ষেত্রে যাতে তেমন কিছু না ঘটে, তার জন্য আগে থেকেই সাবধান হচ্ছে কেএমডিএ। ওই উড়ালপুলে যান চলাচলের গতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশকে আগেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এ বার ওই উড়ালপুলে কী কী ধরনের যানবাহন উঠতে দেওয়া হবে, তার একটি স্বতন্ত্র তালিকা তৈরি করবেন কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ।
কেএমডিএ-র এক আধিকারিক জানান, ওই উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পরেই সেই তালিকা তৈরির কাজ শুরু হবে। তালিকাটি দেওয়া হবে পুলিশকেও। যাতে তারা সেই মতো ব্যবস্থা নিতে পারে। এই কারণেই চিংড়িঘাটা উড়ালপুলের ভার বহন ক্ষমতা পরীক্ষায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। যানবাহনের ভার কতটা হলে ওই উড়ালপুলে ওঠা নিরাপদ, ভার বহন ক্ষমতার পরীক্ষা না হলে তা বোঝা যাবে না। এ ছাড়া, ওই উড়ালপুলে যানবাহনের গতিও বেঁধে দেওয়া হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, অনেক দিন আগেই ওই উড়ালপুলে লরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সমস্যা কোথায়?
কেএমডিএ-র আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, উড়ালপুলের বাঁকের অংশে চাপ বেশি পড়লে সেখানে ফাটল তৈরির আশঙ্কা তৈরি হয়। তাঁদের ধারণা, উল্টোডাঙা উড়ালপুল ভেঙে পড়ার পরে ওই বাঁকের অংশ মেরামত করে লোহার ঠেকনা দেওয়ার ফলেই ভারসাম্যের পরিবর্তন ঘটে বাঁকের অংশে ফের ফাটল ধরেছে। চিংড়িঘাটা উড়ালপুলের ক্ষেত্রে স্তম্ভগুলি খালের জলের মধ্যে থাকায় তার জেরেও সমস্যা তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা আধিকারিকদের একাংশের। কেএমডিএ সূত্রের খবর, কালীঘাট সেতুর ক্ষেত্রেও যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন কর্তৃপক্ষ। কারণ, ওই সেতুর স্তম্ভগুলি দীর্ঘদিন খালের জলে ডুবে থাকায় সেগুলি এখন কতটা
শক্তপোক্ত রয়েছে, সেই ব্যাপারেও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।
টালিনালার নোংরা জল ওই সেতুর কতটা ক্ষতি করেছে, তা জানতে পারলে তবেই বোঝা যাবে সেতুটির স্বাস্থ্যের ভবিষ্যৎ কেমন। এ ব্যাপারে রিপোর্ট আসা পর্যন্ত ওই সেতুর উপরে যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ বজায় থাকবে। ভারী মালবাহী গাড়ি কোনও মতেই যাতায়াত করতে পারবে না।
এই দু’টি উড়ালপুলের পাশাপাশি আপাতত শহরে কেএমডিএ-র সব ক’টি সেতু ও উড়ালপুলেই স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া পর্যন্ত মালবাহী গাড়ি চলাচলে গতির নিয়ন্ত্রণ থাকছে।