এই গার্ডেনরিচ উড়ালপুলেরই র্যাম্প তৈরির প্রস্তাবে অনুমোদন মিলেছে। ছবি: দেশকল্যাণ চৌধুরী
গার্ডেনরিচ উড়ালপুলের সঙ্গে সংযোগকারী র্যাম্প তৈরির সিদ্ধান্তে অনুমোদন মিলল। কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (কেএমডিএ) এই প্রকল্পের সমীক্ষার পরে ‘গভর্নমেন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার সাব কমিটি’ অনুমতি দিল। ব্রেস ব্রিজের কাছে হাইড রোড থেকে গার্ডেনরিচ উড়ালপুলের সঙ্গে সংযোগসাধন করবে এই র্যাম্প। প্রয়োজনে প্রস্তাবিত নকশার হেরফের হতে পারে বলে কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
কেএমডিএ সূত্রের খবর, প্রস্তাবিত দু’টি র্যাম্প আসা এবং যাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হবে। প্রতিটি র্যাম্প এক কিলোমিটার দীর্ঘ হবে। প্রকল্প সম্পূর্ণ হলে এক প্রান্তে খিদিরপুর থেকে আলিপুর এবং অন্য প্রান্তে বাটানগর এবং জিঞ্জিরাবাজারের মধ্যে দুরত্ব অনেকটাই কমে যাবে। অন্য দিকে, হাইড রোড থেকে ব্রেস ব্রিজ যেতে হলে তারাতলার মোড়ে রোজ যে যানজট হয়, তাও অনেক কমবে বলে কেএমডিএ-র আধিকারিকদের দাবি। প্রকল্পের জন্য খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ৯০ কোটি টাকা। অর্থ দফতরের অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। টাকা বরাদ্দ হলেই কেএমডিএ দরপত্রের ডাক দেবে।
পুলিশ এবং কেএমডিএ আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, প্রায় ৩৪০ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করা হয়েছিল গার্ডেনরিচ উড়ালপুল। কিন্তু তা পুরোপুরি ব্যবহার করেন না চালকেরা। মোটরবাইক আরোহীরা মূলত সার্কুলার গার্ডেনরিচ রোড ব্যবহার করেন। কারণ গার্ডেনরিচ উড়ালপুলে উঠতে গেলে অনেকটা পথ ঘুরতে হয়। সেই কারণে র্যাম্প তৈরির পরিকল্পনা বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
প্রকল্পের বিষয়ে রাজ্য পরিবহণ দফতরের সঙ্গে কেএমডিএ আধিকারিকদের কথা হয়েছে। পাশাপাশি কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও সম্প্রতি আলোচনায় বসেন তাঁরা। কারণ, কাজের জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষের একটি জমি কেএমডিএ-কে অধিগ্রহণ করতে হতে পারে। যদিও প্রাথমিক ভাবে তাতে বন্দর কর্তৃপক্ষ সায় দিয়েছে। তবে পরে কোনও রাস্তার সম্প্রসারণ করতে হলে সমস্যা হতে পারে। সংস্থার আধিকারিকদের দাবি, সে ক্ষেত্রে প্রকল্পের প্রস্তাবিত নকশায় কিছুটা পরিবর্তন করার সম্ভাবনাও রয়েছে। যদিও সে নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।