ফাইল চিত্র।
উড়ালপুল বা সেতুর উপরে পিচের আস্তরণ কোনও ভাবেই তিন ইঞ্চির বেশি যাতে না হয় সেই ব্যাপারে নির্দেশ দিলেন কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ। শহরের কয়েকটি উড়ালপুল এবং সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরেই ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কেএমডিএ সূত্রের খবর, কয়েকটি উড়ালপুলে পিচের আস্তরণের উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি রয়েছে বলে পরীক্ষায় জানা গিয়েছে। চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরির পরে ওই সব উড়ালপুলের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কর্তৃপক্ষের মতে, স্বাস্থ্য পরীক্ষার আগেই পিচের মোটা আস্তরণ সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু কংক্রিটের উপর পিচের আস্তরণের উচ্চতা কতটা হবে সেই ব্যাপারেও এ বার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, উড়ালপুলের উপরে রাস্তা ভাঙলেই সাধারণ নিয়মে তাতে পিচের তাপ্পি দেওয়া হয়। তার জেরে অনেক জায়গাতেই উড়ালপুলের উপরে পিচের আস্তরণের উচ্চতা তিন ইঞ্চি ছাড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নির্দিষ্ট সময় অন্তর উড়ালপুলের উপরের পিচ সম্পূর্ণ চেঁছে নতুন করে আস্তরণ দেওয়া উচিত। তা না হলে উড়ালপুলের ভার বহন ক্ষমতা প্রভাবিত হতে পারে। তাঁদের দাবি, এ নিয়ে অতীতেও আলোচনা হয়েছে। তবে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। পিচের অসম তাপ্পি উড়ালপুলের ভার বহনের ক্ষমতাকে যে প্রভাবিত করতে পারে, এ বার তা সামনে আসছে বলে বিশেষজ্ঞদের দাবি।
ভেঙে পড়ার পরে মাঝেরহাট সেতুর উপরের পিচের আস্তরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। শিয়ালদহ এবং অরবিন্দ সেতুর ক্ষেত্রেও একই বিতর্ক উঠেছিল।কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ জানান, কাজের জন্য প্রতিবার উড়ালপুল বন্ধ রাখা সম্ভব হয় না। আবার উড়ালপুলের রাস্তার সব পিচ চেঁছে ফেলে প্রতিবার নতুন আস্তরণ তৈরি খরচসাপেক্ষ। তাই এমন সমস্যা। সম্প্রতি রাস্তায় পিচের আস্তরণ ছাঁটার জন্য এক ধরনের যন্ত্র ব্যবহার করার কথাও ভাবা হয়েছে।