ফাইল চিত্র
দূষণ কমাতে জঞ্জাল থেকে জৈব গ্যাস তৈরির প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল অনেক দিন আগেই। কিন্তু সেই গ্যাস কী ভাবে ব্যবহার করা হবে এবং কারাই বা ব্যবহার করবেন, তা নিয়ে প্রজেক্ট রিপোর্টে কিছু উল্লেখ না থাকায় বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের পাশে প্রমোদনগরে কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)-র প্রকল্পটিই আপাতত স্থগিত হয়ে গেল।
প্রকল্পের রিপোর্ট তৈরির সময়ে বিষয়টির উল্লেখ ছিল না কেন? এ নিয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি, জৈব গ্যাসের উপভোক্তা কারা হবেন, তা নিয়ে নতুন রিপোর্ট তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে, গ্যাস বোতলবন্দি করে বিতরণ করা হবে।
কেএমডিএ সূত্রে খবর, প্রমোদনগরে রাস্তার পাশে একটি জায়গায় বহু দিন ধরে দমদম, উত্তর দমদম, দক্ষিণ দমদম এবং বরাহনগর পুরসভার জঞ্জাল ফেলা হয়। স্তূপীকৃত ওই জঞ্জাল অনেক সময়ে পুড়িয়ে দেওয়াও হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই জঞ্জাল এবং তা পোড়ানোর ধোঁয়া থেকে এলাকায় দূষণ ছড়ায়। দূষণ রুখতে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে রাজ্য সরকার জৈব গ্যাসের একটি প্লান্ট তৈরির কথা ভাবে।
রাজ্য নগরোন্নয়ন দফতরের এক আধিকারিক জানান, ২০১৬ সালে ঠিক হয় মিউনিসিপ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডাইরেক্টরেট পড়ে থাকা জঞ্জাল পৃথকীকরণ করে পচনশীল জঞ্জাল থেকে জৈব গ্যাস তৈরি করবে। অপচনশীল জঞ্জাল দিয়ে জমি ভরাট করা হবে। গ্যাস তৈরি করার জন্য প্রতিদিন ৫০ মেট্রিক টন জঞ্জাল প্রয়োজন। পরে ওই দফতর প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করতে পারেনি। প্রকল্পের জন্য প্রায় ৫৬ কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছিল। কিন্তু উৎপন্ন জৈব গ্যাস কী ভাবে এবং কারা ব্যবহার করবেন, তা কোথাও বলা হয়নি।
২০১৭ সালে সিদ্ধান্ত হয়, প্রকল্পটি কেএমডিএ-কে হস্তান্তর করা হবে। কিন্তু সেই সময়েও জৈব গ্যাস ব্যবহারের ব্যাপারে কোনও উল্লেখ না থাকায় প্রস্তাবিত রিপোর্ট গ্রাহ্য করা হয়নি। নগরোন্নয়ন দফতরের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, নিয়মানুযায়ী জৈব গ্যাসের কার্যকারিতা রিপোর্টে অবশ্যই উল্লেখ থাকা প্রয়োজন। সেই কারণে বর্তমানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, বিষয়টি স্পষ্ট করলে তবেই প্রকল্পটিকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে।