Ganga

গঙ্গার দূষণ রোধ কী ভাবে, পরামর্শদাতা সংস্থা নিয়োগ

কেএমডিএ আধিকারিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গঙ্গায় গিয়ে পড়ে এমন ৫৬টি নিকাশি নালার মধ্যে প্রাথমিক ভাবে ২২টি নিকাশি নালা চিহ্নিত করে তার মাধ্যমে হওয়া দূষণ কমানোর কাজ করা হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০২০ ০২:০৩
Share:

—ফাইল চিত্র।

গঙ্গা দূষণ কী ভাবে রোধ করা যায়, তার জন্য এ বার পরামর্শদাতা সংস্থা নিয়োগ করতে চলেছে কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)। রাজ্যের বিভিন্ন পুর এলাকার যে সমস্ত নিকাশি নালার মাধ্যমে নোংরা জল সরাসরি গঙ্গায় গিয়ে পড়ছে, তা কী ভাবে আটকানো যায় অথবা বিকল্প পথে কী ভাবে দূষণ কমানো যায়, তার রূপরেখা ঠিক করবে সংশ্লিষ্ট পরামর্শদাতা সংস্থা। ইতিমধ্যেই সংস্থা নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে কেএমডিএ সূত্রের খবর।

Advertisement

কেএমডিএ আধিকারিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গঙ্গায় গিয়ে পড়ে এমন ৫৬টি নিকাশি নালার মধ্যে প্রাথমিক ভাবে ২২টি নিকাশি নালা চিহ্নিত করে তার মাধ্যমে হওয়া দূষণ কমানোর কাজ করা হবে। সে জন্য নির্বাচিত সংস্থা সমীক্ষা করে পুঙ্খানুপুঙ্খ রিপোর্ট তৈরি করবে। কী ভাবে দূষণ কমানো যাবে, তা বিস্তারিত ভাবে ওই রিপোর্টে উল্লেখ করতে হবে। এর পরে সেই রূপরেখা অনুযায়ীই ২২টি নালার দূষণ কমানোর প্রক্রিয়া বাস্তবায়িত করা হবে। কেএমডিএ-র এক কর্তার কথায়, ‘‘পরামর্শদাতা সংস্থা নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দরপত্রও ডাকা হয়েছে।’’

একাধিক নিকাশি নালার মাধ্যমে যে ভাবে তরল দূষিত বর্জ্য সরাসরি গঙ্গায় গিয়ে পড়ে এবং তার ফলে গঙ্গায় দূষণ হয়, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সরব হয়েছেন পরিবেশকর্মীদের একাংশ। কিন্তু তার পরেও অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। নিকাশি পরিশোধন প্লান্ট (এসটিপি) থাকলেও তার মধ্যে কতগুলি আদৌ কাজ করে, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। এমনকি, দূষণরোধে যতগুলি নিকাশি পরিশোধন প্লান্ট থাকার কথা, সেই সংখ্যক প্লান্ট রয়েছে কি না, সে প্রশ্নও তুলেছেন পরিবেশকর্মীদের একাংশ। পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত বলেন, ‘‘গঙ্গা দূষণ নিয়ে বিভিন্ন সময়েই বিভিন্ন সরকারি উদ্যোগ দেখা গিয়েছে। কিন্তু বেশির ভাগই শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে গঙ্গার দূষণ যেমন ছিল, তেমনই রয়েছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement