কুকুরদের জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্বীজকরণ থেকে শুরু করে টিকাকরণ— সবই করবেন পুরকর্মীরাই।
নীলরতন সরকার হাসপাতালে কুকুরছানা খুনের ঘটনার পরে অবশেষে টনক নড়ল কলকাতা পুরসভার। হাসপাতাল বা অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানে পথ কুকুরদের বিষয়ে কর্তৃপক্ষ যথাযথ গুরুত্ব না দিলে এ বার থেকে কলকাতা পুরসভা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে। কুকুরদের জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্বীজকরণ থেকে শুরু করে টিকাকরণ— সবই করবেন পুরকর্মীরাই। এ বিষয়ে পুরসভার তরফে সংশ্লিষ্ট সরকারি হাসপাতাল এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে চিঠি দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ বলেন, “কলকাতা পুরসভা এলাকায় সব সরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে চিঠি দিয়ে জানানো হচ্ছে। হাসপাতাল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়-সহ সরকারি দফতরে আশ্রয় নেওয়া কুকুরদের যাতে সেখানেই নির্বীজকরণ এবং টিকাকরণ করা যায়, তার জন্য একটি নির্দিষ্ট জায়গা দেওয়ারও অনুরোধ করা হচ্ছে।”
হাসপাতাল চত্বরে আশ্রয় নেওয়া সারমেয়দের ‘নিয়ন্ত্রণ’ করা বা তাদের রোগভোগ হলে চিকিৎসার জন্য কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না বলে অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। অনেক সময় ওয়ার্ডেও ঢুকে পড়ে সারমেয়রা। বিপত্তির শেষ থাকে না। শুধু তাই নয়, রোগীর আত্মীয় থেকে শুরু করে হাসপাতালের কর্মী, নার্স এমনকি চিকিৎসকেরাও সারমেয়দের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে, এমন অভিযোগও রয়েছে। এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি রয়েছে কি না সে প্রশ্নও উঠছে।
আরও পড়ুন: কুকুরছানা খুনে জামিন পেলেও হাসপাতালে ঢুকতে পারবেন না দুই ছাত্রী
আগে হাসপাতালের তরফে কলকাতা পুরসভাকে জানানো হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হত। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ঠিকমতো তথ্যই পৌঁছয় না পুরসভায়। নীলরতন সরকার হাসপাতালের ঘটনাতেও সে রকম বিষয় উঠে আসছে। তবে এ ক্ষেত্রে একে অন্যের উপরে দোষারোপ না করে, কলকাতা পুরসভা নিজের উদ্যোগেই কুকুরদের নির্বীজকরণ করতে চাইছে।
আরও পড়ুন: কুকুরের উপদ্রব ঠেকাতে চিঠি দেন সুপারই