Illegal Parking

বেআইনি পার্কিং রুখতে অ্যাপ আনবে পুরসভা

দিন কয়েক আগে ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে সেই অসুবিধার কথা ফিরহাদ হাকিমকে বলেন মধ্য কলকাতার ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা।

Advertisement

অনুপ চট্টোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০২:৩২
Share:

বাড়ির পথ আগলে গাড়ির সার।—ফাইল চিত্র।

বেআইনি পার্কিংয়ের বাড়বাড়ন্ত রুখতে এ বার কলকাতা পুলিশের মতো অ্যাপ ব্যবহার করতে চায় কলকাতা পুরসভাও। সোমবার পুর ভবনে পুলিশ এবং পরিবহণ দফতরের পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন পুর কর্তৃপক্ষ। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, কলকাতা পুলিশের ট্র্যাফিক বিভাগ শহরে ট্র্যাফিক-বিধি ভাঙার জন্য যে পদ্ধতিতে গাড়ির মালিকদের অ্যাপের মাধ্যমে জরিমানার নোটিস পাঠায়, পুরসভাও তা অনুসরণ করবে। অর্থাৎ, এ বার থেকে বৈধ পার্কিং প্লেসের বাইরে কেউ যদি বেআইনি ভাবে গাড়ি রাখেন, তা হলে সেই গাড়ির মালিকের কাছে অ্যাপের মাধ্যমে জরিমানার নোটিস চলে যাবে। কিন্তু নোটিস পেয়েও কেউ যদি জরিমানার টাকা না দেন, তা হলে কী হবে? এ বিষয়ে পুরসভার পার্কিং দফতরের মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার জানান, জরিমানা না দিলে ওই গাড়ির কোনও নথিপত্রেরই নবীকরণ করা যাবে না। ওই গাড়ি বিক্রিও করা যাবে না। দেবাশিসবাবু বলেন, ‘‘বারংবার সতর্ক করেও বেআইনি পার্কিং বন্ধ করা যাচ্ছে না। তাই কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার পথে এগোতে হচ্ছে।’’ তিনি জানান, বেআইনি পার্কিংয়ের কারণে শহরের অনেক রাস্তা এবং গলিপথ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আটকে থাকে। মানুষের অসুবিধা হয়।

Advertisement

দিন কয়েক আগে ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে সেই অসুবিধার কথা ফিরহাদ হাকিমকে বলেন মধ্য কলকাতার ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা। তাঁর অভিযোগ ছিল, বেআইনি পার্কিংয়ের কারণে যোগাযোগ ভবনের পাশের গলিতে অ্যাম্বুল্যান্সও ঢুকতে পারে না। সে দিনই মেয়র পার্কিং দফতরকে কড়া ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন।

পুরসভা সূত্রের খবর, শহরে বৈধ পার্কিংয়ের সংখ্যা প্রায় ৪৫০। আর বেআইনির সংখ্যা তার কয়েক গুণ বেশি। রাস্তার যত্রতত্র গাড়ি রাখায় যান চলাচলে সমস্যা তো হয়ই, পার্কিং বাবদ টাকাও পুরসভা পায় না। পুরসভা সূত্রের খবর, এই লোকসানের পরিমাণ বছরে ২৫-৩০ কোটি টাকার মতো। এত সব জেনেও বছরের পর বছর কড়া পদক্ষেপ করতে পারেনি পুর প্রশাসন। কেন?

Advertisement

পুর সভার এক আধিকারিক জানান, বেআইনি পার্কিংয়ের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালানোর মতো পরিকাঠামো তাঁদের নেই। লোকবল, গাড়ি আটকে রাখার ক্ল্যাম্প-ও তুলনায় অনেক কম। অনেক সময়ে গাড়িতে ক্ল্যাম্প লাগাতে গিয়ে হেনস্থা হতে হয়েছে পুরকর্মীদের। তবে অ্যাপের মাধ্যমে নোটিস পাঠানোর প্রক্রিয়া চালু হলে সেই সমস্যা আর থাকবে না বলেই মত পুর প্রশাসনের। বাড়বে পার্কিং ফি বাবদ পুরসভার আয়ও। এ নিয়ে ফের এক বার পুলিশ, পরিবহণ দফতর এবং মোটর ভেহিক্‌লস দফতরের সঙ্গে বৈঠক করবে পুরসভা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement