ছবি: সংগৃহীত।
ডেঙ্গির প্রকোপে কাবু প্রায় গোটা বাংলাদেশ। দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে অন্তত ৬১টি জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গির সংক্রমণ। ওই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে কলকাতা পুরসভার সহায়তা চেয়ে শনিবার পুর ভবনে হাজির হলেন শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভার মহম্মদ তাজুল ইসলাম। সঙ্গে ছিলেন তাঁর মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য।
ডেঙ্গি প্রতিরোধ করতে কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর ১৪৪টি ওয়ার্ডে কী পদ্ধতিতে কাজ করে তা নিয়ন্ত্রণ করেছে, সে সবের খুঁটিনাটি জানতে এ দিন আগ্রহ দেখান বাংলাদেশের মন্ত্রী। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম সহায়তার আশ্বাস দেন। স্থির হয়েছে কাল, সোমবার ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে ডেপুটি মেয়র তথা মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ, ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম এবং দুই পুরসভার পদস্থ কর্তারা সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে মত বিনিময় করবেন।
এ দিন বৈঠক শেষে মন্ত্রী বলেন, ‘‘এক সময়ে কলকাতায় যথেষ্ট ডেঙ্গির প্রকোপ ছিল। কলকাতার সেই পরিস্থিতি এখন অনেক বদলেছে। আমরাও এ বার সেই অভিজ্ঞতা থেকে সমৃদ্ধ হয়েছি।’’ অন্য দিকে, ফিরহাদ বলেন, ‘‘ঢাকায় ডেঙ্গির প্রকোপ বেড়েছে। বাংলাদেশের মন্ত্রীরা চেষ্টাও করছেন নিয়ন্ত্রণ করার। আমরা কী ভাবে কাজ করছি, তা নিয়ে দু’তরফে মত বিনিময় হয়েছে। কারণ, ঢাকা এবং কলকাতার আবহাওয়া একই।’’
এ দিনের বৈঠকে অতীনবাবু এবং তাঁর বিভাগের মুখ্য পতঙ্গবিদ দেবাশিস বিশ্বাস বাংলাদেশের মন্ত্রীদের বিস্তারিত ভাবে ব্যাখ্যা করেন মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে কী কী পন্থা তাঁরা অবলম্বন করেছেন।