ফাইল চিত্র।
তাঁরা ভোট দেন কলকাতা পুরসভার নির্বাচনে। কিন্তু কাগজেকলমে পুরসভার বাসিন্দা নন। নথি অনুসারে তাঁরা দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত বা অন্য পুর এলাকার বাসিন্দা।
এর জেরে দীর্ঘকাল কলকাতা পুরসভার পানীয় জল, আলো, নিকাশি বা জঞ্জাল অপসারণের মত পরিষেবা কিছুই পেতেন না তাঁরা। এ নিয়ে বারবার আবেদন জানানো হয়েছিল পুর প্রশাসনের কাছে। মাস কয়েক আগে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কাছে ওই সব এলাকার কাউন্সিলরেরাও বিষয়টি তোলেন। সোমবার পুরভবনে বিষয়টি নিয়ে একটি জরুরি বৈঠক হয়। সেখানে হাজির ছিলেন মেয়র, বিভাগীয় আধিকারিকেরা-সহ সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলরেরা। মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘ওঁরা তো কলকাতার ভোটার। তাই পানীয় জল, আলো, জঞ্জাল অপসারণের মতো জরুরি পরিষেবা তাঁদের দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’’
কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, যে সব ওয়ার্ডে ওই সমস্যা রয়েছে সেগুলি হল ১০৯, ১১১, ১১২, ১১৩, ১১৪, ১২৫, ১২৬, ১৪২ এবং ১৪৪। ওই সব ওয়ার্ডের কিছু এলাকা শহরের প্রান্তে। সেখানকার কিছু এলাকা সোনারপুর পুরসভা অথবা দক্ষিণ ২৪ পরগনার জোকা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্ভুক্ত হয়ে রয়েছে। তাই পুর পরিষেবা পাচ্ছিলেন না সেখানকার বাসিন্দারা। এক পুর আধিকারিক জানান, ওই সব এলাকা কলকাতা পুরসভার অধীনে আনার প্রক্রিয়া জটিল এবং সময়সাপেক্ষ। আপাতত সেখানকার বাসিন্দাদের কলকাতা পুরসভার তরফে পরিষেবা দেওয়া হবে। তবে এর জন্য পুরসভার প্রাপ্য টাকা তাঁদের দিতে হবে। পুর প্রশাসনের ওই সিদ্ধান্তের ফলে দু’হাজারেরও বেশি বাসিন্দা উপকৃত হবেন বলে পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।