ফাইল চিত্র।
বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কলকাতা পুরসভায় একাধিক বার অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। শুধু নোটিস পাঠিয়েই দায় সেরেছিলেন বিল্ডিং বিভাগের আধিকারিকেরা। গত শনিবার ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে এমনই অভিযোগ করেছিলেন এক নাগরিক। যার পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষুব্ধ মেয়র পুরসভার বিল্ডিং বিভাগ এবং পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের কারণ দর্শানোরও নির্দেশ দেন। তার পরেই সোমবার আট নম্বর বরোর এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার, অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার এবং সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারকে শো-কজ় করল পুরসভার বিল্ডিং বিভাগ। তবে অভিযোগকারী শেখ আব্দুল করিমের দাবি, বিষয়টি যতটা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছিলেন মেয়র, পুরসভার তরফে সেই ভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।
‘টক টু মেয়র’-এ আব্দুলের অভিযোগ ছিল, ৩৩বি আহিরীপুকুর রোড ঠিকানায় বেআইনি ভাবে একটি বাড়ি তৈরি হচ্ছে। যেটি দখল করেছে তাঁর জায়গার একাংশ। এই বিষয়ে পুরসভাকে একাধিক বার জানিয়েও লাভ হয়নি। এর পরেই মেয়র তাঁর ওএসডি কালীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জানতে চান, কেন বিষয়টি পরে আর দেখা হল না? সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের শো-কজ় করার নির্দেশ দেন।
পুর বিল্ডিং বিভাগ সূত্রের খবর, এ দিন আট নম্বর বরোর এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার, অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার ও সাব- অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারকে ডেকে পাঠানো হয়। তবে আব্দুলের অভিযোগ, ওই নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে না এখনও চলছে, ফোন করে শুধু সেটুকুই জানতে চেয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট পুর আধিকারিক। আব্দুল বলেন, ‘‘যে মোবাইল থেকে মেয়রকে ফোন করেছিলাম, সেখানে ফোন করে ওই আধিকারিক আমার মেয়ের কাছে জানতে চান, নির্মাণকাজ এখনও চলছে কি না। মেয়ে জানায়, কাজ বন্ধ রয়েছে। তার পরেই ওই আধিকারিক ফোন কেটে দেন।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, এই বিষয়ে কড়েয়া থানার পুলিশও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এই প্রসঙ্গে থানার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘আমরা শীঘ্রই ওই নির্মাণকারীর বিরুদ্ধে এফআইআর করব।’’