তিলজলার দু’টি বাড়িই বৃহস্পতিবার পরিদর্শন করেন পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারেরা। নিজস্ব চিত্র
তিলজলায় হেলে পড়া বহুতল নিয়ে এখনও কাটেনি আতঙ্ক। বুধবার সন্ধ্যায় কলকাতা পুরসভার ৬৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার ১২/১১ তিলজলা শিবতলা লেনের বাড়িটি হেলে পড়ার কথা জানাজানি হতেই হইচই শুরু হয় এলাকায়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বাসিন্দারা। যে বাড়ির দিকে হেলে পড়ে বাড়িটি, চিন্তিত হয়ে পড়েন সেখানকার বাসিন্দারাও। রাতেই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ এবং পুরসভার দল। জানানো হয়, পুরসভার পদস্থ ইঞ্জিনিয়ারেরা পুরো বিষয়টি দেখবেন। সেই মতো বৃহস্পতিবার দুপুরে পুরসভার বিল্ডিং দফতরের ডিজি-সহ পদস্থ ইঞ্জিনিয়ারেরা ঘটনাস্থলে যান। খোদ পুর কমিশনার খলিল আহমেদও যান এলাকায়। দু’টি বাড়িই পরিদর্শন করেন তাঁরা। পুরসভার বিশেষজ্ঞ দল সব কিছু পর্যবেক্ষণের পরে জানিয়েছে, পুরো রিপোর্ট তারা প্রশাসনের কাছে জমা দেবে।
কিন্তু কেন এমন অবস্থা হল? বিল্ডিংয়ের হাল দেখে বিশেষজ্ঞদের প্রাথমিক ধারণা, এক দিনে হেলে পড়েনি বাড়িটি। বেশ কিছু দিন ধরে একটু একটু করে ঘটেছে এই ঘটনা। এখন দেখা যাচ্ছে, প্রায় ৮-১০ ইঞ্চি হেলে রয়েছে বাড়িটি। পিছনের দিকটি বেশি ক্ষতিগস্ত। পুরসভার বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, কয়েকটি পরীক্ষা করা দরকার। তার পরে বোঝা যাবে, কেন এমন ঘটল। পুরসভা সূত্রের খবর, বিল্ডিং তৈরি ঠিকমতো হয়েছিল কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। নির্দিষ্ট দূরত্ব না রেখে পাশাপাশি বাড়ি ওঠার ফলেও এমনটা হতে পারে। পুরসভার বিল্ডিং দফতরের এক আধিকারিক জানান, মোট ২৩টি পরিবার ছিল ওই বাড়িতে। সকলকেই অন্যত্র সরিয়ে আনা হয়েছে। ওই বিল্ডিং নিরাপদ নয়, তাই কোনও স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি বলে মনে করছে পুর প্রশাসন। তা হলে কি ভাঙতে হবে বাড়িটি? জবাবে ওই আধিকারিক জানান, রিপোর্ট আসার পরেই এর উত্তর দেওয়া যাবে।
এলাকার কাউন্সিলর নিবেদিতা শর্মা জানান, রাতেই মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করে বিষয়টি জানানো হয়েছিল। এলাকাবাসীর আতঙ্ক কাটাতে দ্রুত পুর প্রশাসনকে তৎপর হওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে বলে জানান নিবেদিতাদেবী। যদিও স্থানীয় সূত্রের খবর, শুধু ওই বাড়ি নয়, এলাকার আরও কয়েকটি বাড়ির হালও ভাল নয়।