প্রস্তুতি: দখলদার সরিয়ে খালি মাঠ। নিজস্ব চিত্র
টালা জিমখানা মাঠে কলকাতা পুরসভার স্টেডিয়াম তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছিল আগেই। কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু হলেও উদ্যানের একাংশ দখলে থাকায় সমস্যা হচ্ছিল। এ বার সে কাজই শুরু হল। সম্প্রতি ওই প্রকল্পের জন্য পুরসভা অভিযান চালিয়ে দখল উচ্ছেদ করে মাঠ ফাঁকা করে দিয়েছে। নতুন করে কেউ ওখানে প্রবেশ করতে যাতে না পারেন, সে দিকে পুরসভা নজর রাখছে বলে দাবি পুর কর্তৃপক্ষের।
কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, মাস কয়েক আগে পরিদর্শনে গিয়ে দেখা গিয়েছিল, দখলদারদের সরালেও ফের তাঁরা চলে আসছেন। বিষয়টি স্থানীয় বরো কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। ইতিমধ্যে কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা উচ্ছেদের বিরোধীতা শুরু করে। এর পরেই পুর কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেন, নাইট শেল্টার তৈরি করে দখলকারীদের সরাতে হবে। এক নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তরুণ সাহা জানান, সম্প্রতি নাইট শেল্টার করে দখলকারীদের একাংশকে পুনর্বাসন দেওয়ায় সেই সমস্যা আপাতত নেই। ফলে স্টেডিয়াম তৈরিতে এখন কোনও বাধা নেই। তরুণবাবু বলেন, ‘‘মাঠ এখন খালি। কোনও ভাবেই নতুন করে কাউকে বসতে দেওয়া হবে না। এই মাঠ দখলকারী ২৫টি পরিবারকে নাইট শেল্টারে রাখার ব্যবস্থা হয়েছে।’’ উদ্যানের ধারে যে জঞ্জাল পড়ে রয়েছে তা-ও পরিষ্কার করা হচ্ছে বলে বরো আধিকারিকেরা জানিয়েছেন।
কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, এক নম্বর বরোর অন্তর্ভুক্ত টালা পার্ক এলাকার পাশাপাশি কয়েকটি উদ্যান মিলে তা উত্তরের ফুসফুস হিসেবে পরিচিত। ধীরে ধীরে সেই সবুজের অনেকটাই দখল হওয়ায় সমস্যা হচ্ছিল। ফলে সবুজ ধ্বংসের পাশাপাশি এলাকা নোংরা হয়ে সামগ্রিক পরিবেশের অবনতি হয়। মুখ ঘোরাচ্ছিলেন প্রাতর্ভ্রমণকারীরাও। এখানে স্টেডিয়াম হলে এলাকার সার্বিক পরিবেশের উন্নতি হবে বলেই মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুরসভার উদ্যান দফতরের এক আধিকারিক জানান, আপাতত স্টেডিয়াম তৈরির জন্য রাজ্য ক্রীড়া দফতরের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। তার পরেই ই-টেন্ডার করা হবে।