ফাইল চিত্র।
প্রকল্পের কাজ কত দূর হয়েছে, সম্পূর্ণ হয়েছে কি না অথবা কত কর আদায় হয়েছে, সে সম্পর্কে রুটিন বৈঠক হয়েই থাকে কলকাতা পুরসভায়। সেটা নতুন নয়। সম্প্রতি সেই বৈঠক-সূচিতেই পরিবর্তন করেছেন কলকাতা পুর কর্তৃপক্ষ। যেখানে বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে সম্পত্তিকর-সহ অন্য কর আদায় সংক্রান্ত বিষয়টি। শুধু তাই নয়, আগে যেখানে মাসে ছ’টি বৈঠক হত, পরিবর্তিত বৈঠক-সূচিতে আরও এক দিন বাড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ, মাসে এখন থেকে সাত দিন বৈঠক হবে বলে পুরসভা জানাচ্ছে।
একাধিক পুরকর্তার অনুমান, পুরভোটের কথা ভেবে এই পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রকল্পের কাজ যাতে দ্রুত সম্পন্ন হয়, সেই সঙ্গে কর আদায় যাতে ঠিক ভাবে হয়, সে কারণে এই পরিবর্তন। যেমন, আগের বৈঠক-সূচিতে কর সংক্রান্ত বিষয়ের সঙ্গে সঙ্গে জমি বিক্রি, আলিপুর উন্নয়ন প্রকল্প, পুরসভার জমি সংক্রান্ত বিষয়-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হত। নতুন বৈঠক-সূচিতে প্রতি মাসের দ্বিতীয় ও চতুর্থ মঙ্গলবার নির্দিষ্ট করা হয়েছে শুধু কর সম্পর্কিত বৈঠকের জন্য। সেখানে স্পেশ্যাল পুর কমিশনার (রাজস্ব), পুর অর্থ দফতরের প্রধান, পুর আইন বিভাগের প্রধানের সঙ্গে সঙ্গে বিল্ডিং, পুর বাজার, বিজ্ঞাপন, পার্কিং-সহ একাধিক বিভাগের প্রধানদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এক পুরকর্তার কথায়, ‘‘কর আদায়ের বিষয়টি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। অন্য আলোচনার সঙ্গে এটি রাখলে গুরুত্ব অনেকটা হ্রাস হয়ে যায়। তাই কর (সম্পত্তি কর ও অন্যান্য কর) সংক্রান্ত বিষয়ের জন্য আলাদা দিন নির্দিষ্ট করা হয়েছে।’’
পুরসভা সূত্রের খবর, পরিবর্তিত বৈঠক-সূচিতে মাসের প্রথম ও তৃতীয় সোমবারে কালীঘাটের উন্নয়ন, নৈশাবাস, খিদিরপুরে পাম্পিং স্টেশন, টালি নালা-সহ একাধিক প্রকল্প নিয়ে আলোচনার কথা বলা হয়েছে। সেখানে বৈঠকের ভিত্তিতে সিভিল, আলো, জঞ্জাল অপসারণ-সহ বিভিন্ন দফতরের কর্তাদের উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মাসের প্রথম ও তৃতীয় বৃহস্পতিবারে বস্তি-প্রকল্প, ট্যাংরা এবং গার্ডেনরিচে কসাইখানা, ধাপা ও গার্ডেনরিচে যথাক্রমে প্রস্তাবিত ২০ মিলিয়ন গ্যালন এবং ২৫ মিলিয়ন গ্যালন জল প্রকল্প-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনার কথা বলা হয়েছে।
প্রতি মাসের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার আবার নির্দিষ্ট হয়েছে শুধুমাত্র কেইআইআইপি-র প্রকল্পগুলির জন্য। এক পুরকর্তার কথায়, ‘‘বৈঠকগুলিতে প্রকল্পের পর্যালোচনা করতে সমস্ত আধিকারিকদের বিস্তারিত রিপোর্ট-সহ আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’