পুরসভা ঘেরাও অভিযানে বিজেপি, মোতায়েন প্রচুর পুলিশ নিজস্ব চিত্র।
পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে এক মহিলা বিজেপি কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাস্তায় পড়ে যান তিনি। তাঁর চিকিৎসা করেন বিজেপি কর্মীরাই।
কিছুক্ষণ প্রতিবাদের পরে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। অন্য দিকে মুরলীধর সেন লেনে পার্টি অফিসে ফিরে যান রাজ্য নেতারা। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে যান চলাচল শুরু করল পুলিশ
সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে ব্যারিকেড করে বিজেপি-র মিছিল আটকালো পুলিশ। বিজেপি কর্মীরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে সামান্য ধস্তাধস্তি হয় পুলিশের। তার পরেই একটি বাস এনে আটক করা হয় বিজেপি নেতা-কর্মীদের। আটক করা হয় বিজেপি-র মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পালকে।
শুরু হয়ে গিয়েছে মিছিল। সামনের সারিতে রয়েছেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ অন্যান্য রাজ্য নেতারা। কলেজ স্ট্রিট থেকে ওয়েলিংটনের দিকে রাস্তায় ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে। ফলে ওয়েলিংটনের দিকে না গিয়ে গণেশ চন্দ্র অ্যাভিনিউ দিয়ে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের দিকে যাচ্ছে মিছিল।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৈরি রাখা হয়েছে জলকামান। ওয়াই চ্যানেলের কাছে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। তৈরি রাখা হয়েছে কুইক রেসপন্স টিমও। কোনও ভাবেই যাতে পরিস্থিতি হাতের বাইরে না যায় সে দিকে নজর দিচ্ছে পুলিশ।
কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, পুরসভা সংলগ্ন এলাকায় মোতায়েন থাকবে ২ হাজার পুলিশ। প্রত্যেকের কাছেই থাকবে হেলমেট, লাঠি ও রেনকোট। প্রত্যেকেই মাস্ক পরে থাকবেন। পুরো ঘটনার ভিডিয়ো রেকর্ড রাখার জন্য তিনটে ক্যামেরা লাগানো হবে। পুরো বিষয়টির নেতৃত্ব দেবেন দু’জন অতিরিক্ত কমিশনার, দু’জন যুগ্ম কমিশনার ও সাত জন ডিসিপি।
বিজেপি-র যুব শাখার তরফে রবিবার লালবাজারে চিঠি পাঠিয়ে পুরসভা ঘেরাও অভিযানের অনুমতি চাওয়া হয়। দলের মহিলা শাখার তরফেও রাজ্য সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল একটি চিঠি দেন। তবে তারও অনুমতি দেয়নি পুলিশ। তার পরেই বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘চ্যালেঞ্জের কিছু নেই। পুলিশকে আমরা জানিয়ে দিয়েছি যে বিক্ষোভ অভিযান হবে। এ বার পুলিশ যা করার করবে।’’