ফাইল চিত্র।
কলকাতার বায়ুদূষণ কোন পথে কমানো যাবে, সে ব্যাপারে সঠিক দিক-নির্দেশ পেতে এ বার বিশেষজ্ঞ কমিটি (হাই পাওয়ার অ্যাডভাইজরি কমিটি) তৈরি করল কলকাতা পুরসভা। আইআইটি খড়্গপুর, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ, রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের প্রতিনিধি নিয়ে গঠিত ওই কমিটি বায়ুদূষণ কমানোর জন্য কলকাতা পুরসভাকে স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা জমা দেবে। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানালেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
এ দিন মেয়র বলেন, ‘‘শীত এসে যাচ্ছে। শীতে দূষণ কমানোর জন্য কী করতে হবে, তা নিয়ে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বিশেষজ্ঞ কমিটি আমাদের একটি স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনা দেবে। আর আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা দেবে তারা। ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে কী ভাবে শহরের দূষণ কমানো যায়, সে ব্যাপারে পরামর্শ দেওয়া হবে।’’ পুরসভা সূত্রের খবর, পুরকর্তারাও ওই কমিটির সদস্য। তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করবেন বিশেষজ্ঞেরা।
বায়ুদূষণ রোধে ইতিমধ্যেই পরিবেশ আদালতের জরিমানার মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্য সরকারকে। সোমবারই বায়ুদূষণ সংক্রান্ত মামলায় মুখ্যসচিবের উপস্থিতিতে পরিবেশ আদালত জানিয়েছে, দূষণ রোধে সরকারের ভূমিকায় তারা সন্তুষ্ট নয়। দৃশ্যতই তা নিয়ে ‘চাপে’ রয়েছে পুর প্রশাসন।
এ দিন মেয়র দিল্লির প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেন, দিল্লিতে যে ভাবে দূষণ বাড়ছে, তাতে স্বাভাবিক ভাবেই চিন্তার যথেষ্ট কারণ থাকছে। কারণ, চরিত্রগত দিক থেকে কলকাতার সঙ্গে দিল্লির মিল রয়েছে। ফিরহাদের কথায়, ‘‘মুম্বই ও চেন্নাইয়ের ধরন কলকাতা ও দিল্লির থেকে আলাদা। মুম্বই, চেন্নাইয়ে সমুদ্র রয়েছে। তাই সমুদ্রের হাওয়ায় দূষণ কমে যায়। কিন্তু কলকাতা ও দিল্লিতে সমুদ্র নেই। তাই এই শহরে দূষণও বেশি।’’ তবে দিল্লির মতো যাতে কলকাতার অবস্থা না হয়, তাই সে ব্যাপারে সরকার সতর্ক রয়েছে বলে ফিরহাদ জানিয়েছেন।