বেআইনি ভাবে পার্কিং ফি নেওয়ার বিরুদ্ধে অভিযানে পুরকর্মীরা। সোমবার, গড়িয়াহাটে। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য
শহরের যে রাস্তায় সরকারি ভাবে কোনও পার্কিং নেই, সেখানেও কেউ কেউ বেআইনি ভাবে পার্কিং করে থাকেন। ওই সব জায়গায় গাড়ির মালিকদের থেকে মোটা টাকা আদায়ও করা হয়। যার একটা কানাকড়িও পুরসভার কোষাগারে জমা পড়ে না। এ নিয়ে বছর বছর ধরে বিস্তর অভিযোগ জমা পড়ে পুরসভায়ও। তবে তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না বলেই অভিযোগ।
সম্প্রতি ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানের পরে পুরসভার বিভিন্ন দফতরে নানা অভিযোগ জমা পড়ছে। পার্কিং নিয়ে তেমনই অভিযোগ আসায় সোমবার গড়িয়াহাট এবং রাসবিহারী অ্যাভিনিউয়ে অভিযান চালায় পুরসভার পার্কিং দফতর। দফতরের ভারপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার জানান, ওই দুই জায়গাতেই পুরসভার নির্ধারিত অঙ্কের চেয়ে বেশি টাকা নেওয়ার প্রমাণ মিলেছে। গড়িয়াহাট উড়ালপুলের নীচে দেখা গিয়েছে বাইকের জন্য নির্ধারিত ভাড়া ৫ টাকার বদলে ১০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। দেশপ্রিয় পার্কের কাছে রাসবিহারী অ্যাভিনিউয়ে বেশি টাকা নেওয়া ছাড়াও সীমানার বাইরে গিয়ে পার্কিং করার প্রমাণও মিলেছে।
পুরসভা সূত্রের খবর, গড়িয়াহাটে গিয়ে দেখা গিয়েছে পার্কিং লটে যাঁরা টাকা তুলছেন, তাঁদের কারও কারও পরিচয়পত্র নেই। নেই লাইসেন্সের কাগজও। প্রশ্ন করলে তাঁরা জানান, বাড়িতে রাখা আছে, বা নবীকরণের জন্য দেওয়া হয়েছে। পুরসভার এক আধিকারিক জানান, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বিল দেওয়া হয় না। ব্যবহার হয় না পুরসভার নির্দেশাবলীও। দেবাশিসবাবু এ দিন জানান, যে দু’টি সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে তাঁদের চিঠি দিয়ে বলা হবে কেন তাদের কালো তালিকাভুক্ত করা হবে না তা জানাতে।