ফাইল চিত্র।
আগামী দু’-এক মাসের মধ্যে রাজ্যের অন্যান্য এলাকায় পুরসভার ভোট হবে বলে বৃহস্পতিবার আবার জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তা-ই নয়, এ দিন কৃষ্ণনগরে রবীন্দ্র ভবনের সভায় পুর প্রশাসকদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘পুরভোট খুব শিগগির হবে। কাজ করুন। ভাল ভাবে কাজ করুন। নির্বাচন আমি দু’-এক মাসের মধ্যে করে দেব।’’
রাজ্যের মূল বিরোধী দল বিজেপি-সহ বিরোধী শিবিরের প্রশ্ন, বেশ কিছু পুরসভার নির্বাচন বহু দিন ধরে বকেয়া পড়ে আছে। তা সত্ত্বেও সব ক’টি পুরসভার নির্বাচন একসঙ্গে হবে না কেন? পুরভোট নিয়ে হাই কোর্টে মামলাকারীদেরও প্রশ্ন, সব পুরভোট একসঙ্গে না-করার কারণ কী? মামলা চলাকালীন কলকাতা পুরসভার ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আগামী ১৯ ডিসেম্বর সেই ভোট হবে। তবে বাকি পুরভোট কবে হবে, সেই ব্যাপারে কোনও নির্দেশিকা কমিশন প্রকাশ করেনি। তার মধ্যেই ভোটের মোটামুটি সময় জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণা।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রের বক্তব্য, রাজ্য সরকার পুরভোটের ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নিলে তা কমিশনকে জানাবে এবং সেই অনুযায়ী কমিশন পদক্ষেপ করবে। সাধারণত, হাতে মাসখানেক সময় পেলেই সব প্রস্তুতি সেরে নিয়ে পুরভোট করা সম্ভব। তবে এ দিন পর্যন্ত রাজ্য সরকারের কাছ থেকে পুরভোটের বিষয়ে কোনও বার্তা আসেনি বলেই কমিশন সূত্রের খবর।
বকেয়া পুরভোটের সময়সীমা নিয়ে এর আগে কথা উঠেছে হাই কোর্টেও। রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সব পুরসভার ভোট শেষ করতে চায় তারা। তবে গত শুনানির দিন কমিশন আদালতে জানায়, মে মাসের মধ্যে পুরভোট হবে। এপ্রিল এবং মে, দু’বার দু’রকমের সময়সীমা কেন বলা হয়েছে, সেই প্রশ্ন তোলেন হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। কমিশন যে-হলফনামা জমা দিয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে মামলার সঙ্গে যুক্ত সব পক্ষের বক্তব্য জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট। আজ, শুক্রবার ফের এই মামলার শুনানি হতে পারে বলে আদালত সূত্রের খবর।