ফাইল চিত্র।
খানিকটা হলেও টলে গিয়েছে ‘জনমোহিনী’ ভাবমূর্তি। তাই কি কমিউনিটি হলের ভাড়া নিয়ে অবস্থান বদল করল কলকাতা পুর প্রশাসন? আপাতত এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে পুর মহলের একাংশে।
গত মার্চে পুর কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, কমিউনিটি হলের ভাড়ায় কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। কিন্তু ছ’মাস যেতে না যেতেই সেই অবস্থান পাল্টে ফেলেছেন তাঁরা। নতুন নির্দেশিকা জারি করে পুরসভা জানিয়ে দিয়েছে, হলের ভাড়ার ক্ষেত্রে শর্ত সাপেক্ষে ছাড় দেওয়া হবে। আধিকারিকদের একাংশের অনুমান, হলের ভাড়ায় ছাড় না দেওয়ার
সিদ্ধান্তে পুরসভার ‘জনমোহনী’ ভাবমূর্তি ধাক্কা খেয়েছিল। তাই তড়িঘড়ি এই সিদ্ধান্ত বদল!
পুরসভা সূত্রের খবর, মার্চে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, হলের ভাড়ায় কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। কারণ হিসেবে পুর প্রশাসনের যুক্তি ছিল, এমনিতেই কমিউনিটি হলের ভাড়ার ক্ষেত্রে একটি ছাড় প্রযোজ্য থাকে। তার উপরে আরও ছাড় দিলে হল থেকে কোনও আয়ই হবে না। সেই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকরও হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি পুর প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিপিএল তালিকাভুক্ত, প্রবীণ নাগরিকদের পরিবার, বিধবা, শারীরিক প্রতিবন্ধী, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ক্ষেত্রে শর্ত সাপেক্ষে ভাড়ায় ছাড় দেওয়া হবে। তবে কারা সেই ছাড় পাবেন, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আবেদন বিচার করেই। এক পুরকর্তার কথায়, ‘‘ছাড়ের ক্ষেত্রে তিনটি আলাদা ভাগ রাখা রয়েছে। আবেদনের ভিত্তিতে ভাড়ার ১০ শতাংশ, ২৫ শতাংশ ও ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’
যদিও এই ছাড় নিয়ে ইতিমধ্যেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে পুর মহলে। এক পুর আধিকারিকের কথায়, ‘‘একদম ছাড়ের পথে না হাঁটলে পুরসভার ভাবমূর্তি ধাক্কা খাবে। তাই কিছুটা বেকায়দায় পড়েই অবস্থান বদল করতে হয়েছে কর্তৃপক্ষকে।’’