Mayor Firhad Hakim & Building

জরাজীর্ণ বাড়ি চাইলেই অধিগ্রহণ করা যায় না, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা উল্লেখ করে জানালেন মেয়র

গত কয়েক মাসে কলকাতা শহরে থাকা জরাজীর্ণ বাড়ি নিয়ে জেরবার হতে হয়েছে কলকাতা পুরসভাকে। বহুক্ষেত্রেই মেয়রের কাছে দাবি করা হয়েছে যে প্রয়োজনে পুরাতন এবং জরাজীর্ণ বাড়িগুলির অধিগ্রহণ করুক পুরসভা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২১:৩৫
Share:
জরাজীর্ণ বাড়ি অধিগ্রহণের অধিগ্রহণের অধিকার নেই পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

জরাজীর্ণ বাড়ি অধিগ্রহণের অধিগ্রহণের অধিকার নেই পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ফাইল ছবি।

জরাজীর্ণ বাড়ি চাইলেই অধিগ্রহণ করতে পারে না কলকাতা পুরসভা। জানালেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। মঙ্গলবার কলকাতা পুরসভার বাজেট অধিবেশনের শেষ দিনে এ কথা জানিয়েছেন তিনি। মেয়র বলেন, ‘‘জরাজীর্ণ বাড়ি চাইলেই কলকাতা পুরসভা অধিগ্রহণ করে নিতে পারে না। সেই অধিকার আমাকে সংবিধান দেয়নি।’’ গত কয়েক মাসে কলকাতা শহরে থাকা জরাজীর্ণ বাড়ি নিয়ে জেরবার হতে হয়েছে কলকাতা পুরসভাকে। বহু ক্ষেত্রেই মেয়রের কাছে দাবি করা হয়েছে যে প্রয়োজনে পুরাতন এবং জরাজীর্ণ বাড়িগুলির অধিগ্রহণ করুক পুরসভা। সেই বিষয়ের কথা উল্লেখ করেই মেয়র পুরসভার অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন।

Advertisement

গত বছর মার্চ মাসে মেয়রের বিধানসভা কেন্দ্র কলকাতা বন্দর এলাকায় একটি অবৈধ নির্মীয়মাণ বাড়ি ভেঙে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। তার পর সারা বছরে কলকাতার কোথাও না কোথাও বাড়ি হেলে যাওয়া কিংবা অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। সব ক্ষেত্রেই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে মেয়রকে। ফিরহাদ বলেন, ‘‘২০ হাজার মূল্যায়ন বিহীন সম্পত্তিকে অ্যাসেসমেন্টের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। যেখানে বেআইনি বিল্ডিং পড়ে যায়, সেখানে আমাকে পৌঁছতে হয়। রাজামোল্লাবাগানের ঘটনার পর আমাদের চোখ খুলে গিয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘কলোনি ও বস্তি এলাকায় যে গরিব মানুষেরা বসবাস করেন তাঁদের নিয়ে আমরা চিন্তিত। সেখানে বেশ কিছু বেআইনি নির্মাণ হয়েছে। মানবিক কারণে তাঁদের আমরা উচ্ছেদ করব না। তাঁদের কাছ থেকে নূন্যতম ফিজ নিয়ে নিয়মিতকরণ করে দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’

বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানের জন্য মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদারের নেতৃত্বে একটি কমিটি গড়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেয়র। তারা এই ধরনের বিষয়গুলি খতিয়ে দেখবে বলে জানান তিনি। ফিরহাদ বলেন, ‘‘বেআইনি নির্মাণের ক্ষেত্রে পাঁচ হাজার স্টপ ওয়ার্কের নোটিস দিয়েছি। কয়েকটি জায়গায় বেআইনি নির্মাণ এখনও বন্ধ করতে পারিনি। অ্যাডেড এলাকা ও পুরসভার অন্যান্য অংশে যাতে অভিন্ন কর নেওয়া হয় তার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ করেছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বিকাশবাবু (ভট্টাচার্য) যখন মেয়র ছিলেন, তখন সরকারি জমি বেচে পুরসভার খরচ চালানো হত। এখন মূল্যায়নবিহীন সম্পত্তিকে অ্যাসেসমেন্টের আওতায় এনে কর সংগ্রহ বৃদ্ধিতে উদ্যোগী হয়েছি।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement