ফাইল চিত্র।
আগামী ৫ মে থেকে শুরু হচ্ছে দুয়ারে সরকার শিবির। চলবে ৫ জুন পর্যন্ত। প্রবল গরমে নাজেহাল অবস্থা সাধারণ মানুষের। এমন আবহাওয়ায় কলকাতা শহরে এই শিবির কী ভাবে চলবে, তা ভেবেই চিন্তায় পুরসভার কর্তারা।
শহরের বিভিন্ন বরোয় দুয়ারে সরকার কর্মসূচির শিবির পরিচালনার দায়িত্ব কলকাতা পুরসভার। পুরসভা সূত্রের খবর, তীব্র গরম থেকে রক্ষা পেতে প্রতিটি শিবিরে আচ্ছাদনের ব্যবস্থা থাকছে। রাখা হচ্ছে পর্যাপ্ত পানীয় জল। পাশাপাশি, পুর আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, শিবিরে যাঁরা হাজির হবেন, তাঁরা যেন গরম থেকে বাঁচতে রোদচশমা এবং ছাতা অবশ্যই ব্যবহার করেন।
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, প্রখর রোদে শিবিরে যোগ দিতে এসে ঠায় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার সময়ে ছাতা অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। সঙ্গে রোদচশমা পরলে আরও ভাল। রোদ থেকে রক্ষা পাওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে যে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।
দুয়ারে সরকার শিবির পুরসভার কর্মীদের দ্বারা পরিচালিত হয়। মূলত পুরসভার সমাজকল্যাণ, শিক্ষা, কর ও রাজস্বের মতো বিভাগ থেকে কর্মীদের তুলে নেওয়া হয়। কমবেশি দু’হাজার কর্মীকে কাজে লাগানো হয়। প্রায় এক মাস ধরে প্রকল্প চলায় পুর পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষত, কর ও রাজস্ব বিভাগের কাজে বাধা পড়লে ক্ষতি পুরসভারই।
অতীতে দেখা গিয়েছে, কর ও রাজস্ব বিভাগের ইনস্পেক্টরদের দুয়ারে সরকার প্রকল্পের কাজে লাগানো হয়েছে। বিভাগের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘শহরের কোথাও নতুন বাড়ি তৈরি হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেলে সেটির সম্পত্তিকরের পরিমাণ নির্ণয় করতে ইনস্পেক্টরদের পাঠানো হয়। কিন্তু তাঁরা প্রকল্পের কাজে ব্যস্ত থাকায় এই ধরনের কাজ ব্যাহত হয়।’’
একই ভাবে পুর স্কুলের শিক্ষকদের দুয়ারে সরকার প্রকল্পে পাঠানোয় অতীতে পঠনপাঠন বিঘ্নিত হয়েছিল। যদিও এ বার ২ মে থেকে গরমের ছুটি পড়ে যাওয়ায় সমস্যা হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে পুর স্কুলের শিক্ষকেরা অনেকেই দুয়ারে সরকার প্রকল্পে যুক্ত হতে আপত্তি জানিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, গরমের ছুটিতে কাজ করতে হবে কেন? এ প্রসঙ্গে পুরসভার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘অন্য কাজের পাশাপাশি দুয়ারে সরকার প্রকল্পের গুরুত্ব অনেক বেশি। এর জন্য সব বিভাগের কর্মীদেরই কাজে লাগানো হবে।’’