Kali Puja

কালী-কথা: কালীঘাট মন্দির

তেত্রিশ কোটি দেবদেবী। প্রধান উপাস্য মা কালী। বাঙালির বড় অংশ শাক্ত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়— সকলেই কালীভক্ত। শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণও কালীর উপাসনা করতেন। কালীর মন্দির সর্বত্র। কিন্তু কোন মন্দিরে যাবেন। এবং কেন। আপনাদের জন্য ক্ষুদ্র নির্দেশিকা। আজ থেকে।কালীঘাট ৫১টি স্বীকৃত পীঠস্থানের একটি। ধর্মের বিচারে কালীঘাটের স্থান অসমের কামাখ্যা মন্দিরের ঠিক পরেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২০ ১৫:৪৮
Share:

কে
শ্রী শ্রী দক্ষিণা কালী

Advertisement

কেন
ক্রিকেট যেমন বাংলা থেকে একমাত্র সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তেমনই ভারতের মন্দির একাদশে বাংলা থেকে একমাত্র স্থান পাবে কালীঘাট। কালীঘাট শক্তিপীঠ। এখানে দেবীর ডানপায়ের আঙুল পড়েছিল। সেইজন্য কালীঘাট ৫১টি স্বীকৃত পীঠস্থানের একটি। ধর্মের বিচারে কালীঘাটের স্থান অসমের কামাখ্যা মন্দিরের ঠিক পরেই। শাস্ত্র অনুযায়ী, মহাকালী দেবীর তমস রূপ। অনেকের মতে, কালীঘাটের দেবী মায়ের ভয়ঙ্কর রূপের শ্রেষ্ঠ নিদর্শনগুলির অন্যতম। একসময় এখানে রোজ ছাগবলি হত। এখন বছরে একটিমাত্র দিনেই পশুবলি হয়। হয়তো এর ফলে দেবীর ভয়ঙ্কর রূপ কিছুটা স্তিমিত। তবে তাঁর সর্বজনগ্রাহ্যতা বেড়েছে।

কোথায়
কালীঘাট রোড। কলকাতা- ৭০০০২৬

Advertisement

কখন
এই সতীপীঠ দীর্ঘকাল জঙ্গলে ঢাকা পড়েছিল। এক ব্রাহ্মণ গঙ্গাতীরে সন্ধ্যাহ্নিক সেরে ফেরার সময়ে এক আশ্চর্য আলো দেখে তার উৎস অনুসন্ধানে গিয়ে কালীকুণ্ড নামে পুকুরের তীরে দেবীর মুখের আকারে একটি পাথরের টুকরো এবং একটি প্রস্তরীভূত পায়ের আঙুল দেখতে পান। কিন্তু এর সন-তারিখ বা সত্যাসত্য নির্ণয় করা অসম্ভব। পরে আকবরের সেনাপতি মানসিংহ আত্মারাম ব্রহ্মচারী নামের ব্রাহ্মণকে কালীঘাটের ভার দেন।

এখন
কালীঘাটের বর্তমান মন্দির ১৮০৯ সালে বড়িশার সাবর্ণ রায়চৌধুরীদের নির্মিত। কালীপূজার দিন এখানে দেবীকে লক্ষ্মীজ্ঞানে পূজা করা হয়। সারা রাত ধরে নয়, সন্ধ্যার সময়েই পুজো হয়ে যায়। মন্দিরের অন্যতম সেবাইত বাবলু হালদার জানিয়েছেন, এ বছর অতিমারি পরিস্থিতির কারণে মন্দির সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১টা এবং বিকেল ৪টে থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকছে। সব সুরক্ষাবিধি অনুসৃত হচ্ছে। কালীপুজোর দিনও তেমনই হবে।

এর পর: ফিরিঙ্গি কালীবাড়ি

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement