প্রাণঘাতী নয় এ রোশনাই। ছবি: কৌশিক লাহিড়ি।
দূষণ নিয়ে বার বার সতর্ক করেও বাজির তাণ্ডবে লাগাম টানা যায়নি। কিন্তু কোভিড ঘিরে আতঙ্ক এ বার সেই অসম্ভবকেই খানিকটা হলেও সম্ভব করে দেখাল। শনিবার কালীপুজোয় রাত ৮টা পর্যন্ত অন্তত বাজির তাণ্ডব থেকে মোটামুটি সুরক্ষিতই রইল শহর কলকাতা। অন্য বছরগুলিতে সন্ধ্যার পর থেকেই উত্তর থেকে দক্ষিণ, কলকাতার আকাশ ছেয়ে যায় আতসবাজির ঝলকানিতে, শব্দবাজির উৎপাতে কান পাতা দায় হয়ে ওঠে, সেই তুলনায় এ বছর উৎসব ঘিরে উন্মাদনা খানিকটা হলেও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হল।
এ দিন সন্ধ্যা থেকেই শহর কলকাতার অলিগলিতে কড়া নজরদারি ছিল পুলিশের। কোনওরকম অনিয়ম চোখে পড়লে ধরপাকড়ও চলছিল সমান তালে। তাতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা গিয়েছে বলে জানিয়েছেন কলকাতা পুলিশের এক কর্তা। তিনি বলেন, ‘‘হাইকোর্টের নির্দেশ বলবৎ করতে শহর জুড়ে নজরদারি চালাচ্ছি আমরা। নির্দেশ লঙ্ঘন হতে দেখে বেশ কয়েক জনকে আটকও করা হয়। দীপাবলিতেও একই ভাবে নজরদারি চলবে।’’
তবে পুলিশে নজরদারি চললেও, রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনিয়মও চোখে পড়ে বেশ কিছু জায়গায়। বিশেষ করে দক্ষিণ কলকাতায়। রাত ৮টার পর থেকে সেখানে একাধিক বাজি পোড়ানোর ঘটনা সামনে এসেছে। তবে এ সবই বিক্ষিপ্ত ঘটনা। অন্য বছরের তুলনায় এ বছরের কালীপুজোকে তাই উৎপাতহীন বলার পক্ষপাতী পুলিশ প্রশাসন।
আরও পড়ুন: অলক্ষ্মীর পুজো শেষ, লক্ষ্মী পুজো চলছে কালীঘাট মন্দিরে
আরও পড়ুন: দারুকাসুর বধের পর প্রলয়নৃত্য, শিশুরূপী মহাদেবকে স্তন্যদান করে ক্রোধ কমে কালীর
কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেথে এ বছর আলোর উৎসবে বাজি পোড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট। সময় থাকতেই সেই নির্দেশ বলবৎ করতে নেমে পড়ে কলকাতা পুলিশ। শুরু হয় আগে ভাগে মজুত করে রাখা বাজি উদ্ধার অভিযান। একই সঙ্গে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টাও চালিয়ে যান তাঁরা। এ ব্যাপারে বাজি ব্যবসায়ীদের সহযোগিতাও উল্লেখ করার মতো। তার পরেও এ দিন সন্ধ্যায় মানিকতলা থেকে বিপুল পরিমাণ বাজি উদ্ধার হয়।