গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
তরুণ ইঞ্জিনিয়র খুনে ঘটনায় গ্রেফতার প্রিয়াঙ্কা চৌধুরীর মুখোমুখি বসানো হল জুনিয়র মৃধার বাবা-মাকে। প্রিয়াঙ্কাকে সিবিআই গ্রেফতার করলেও বেশ কিছু বিষয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে তদন্তকারীদের। সে বিষয়ে আরও তথ্য পেতেই জুনিয়ারের বাবা-মায়ের সঙ্গে শুক্রবার কথা বলছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ইতিমধ্যেই প্রিয়াঙ্কার গাড়িচালক এবং তাঁর বেশ কয়েকজন পরিচিতকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই।
প্রায় এক দশক ধরে এই ঘটনার তদন্ত চললেও জুনিয়র মৃধা কেন খুন হলেন, সে রহস্যের সমাধান হয়নি। প্রশ্ন উঠছে, নেপথ্যে কি কোনও প্রভাবশালী যোগ রয়েছে? কোনও গোপন তথ্য কি জেনে ফেলেছিলেন জুনিয়র?
১০ বছরেও পুলিশ খুনি বা খুনে ব্যবহৃত পিস্তল খুঁজে পায়নি। কোথায় গেল সেই পিস্তল? কেই বা তাঁকে এত কাছ থেকে গুলি করে খুন করল? সে সব প্রশ্নের উত্তরও অজানা।
প্রথমে বরাহনগর থানার পুলিশ তদন্তে নামে। অভিযোগ, দুর্ঘটনার তত্ত্ব সামনে আনতে চেয়েছিল পুলিশ। কিন্তু পরে জানা যায় জুনিয়ারকে খুব কাছ থেকে গুলি করা হয়। সিআইডি তদন্ত শুরু করে। বারবার তদন্তকারী অফিসার বদল হয়েছে। কেন খুন, সেই প্রশ্নের উত্তর নেই।
দুষ্কৃতীদের টাকা দিয়ে জুনিয়রকে খুন করা হয়েছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে মনে করছে সিবিআই। কিন্তু, খুনিকে কে ভাড়া করেছিল, খুনের সময় প্রিয়াঙ্কা ঘটনাস্থলে ছিলেন কি না, কী ধরনের পিস্তল ব্যবহার করা হয়েছিল, তা নিয়ে এখনও ধন্দ রয়েছে।
টালিগঞ্জের চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে ভালই যোগাযোগ ছিল প্রিয়াঙ্কার। এক ফুটবল কর্তার পুত্রবধূ তিনি। প্রশ্ন অতঃপর, খুনের পরিকল্পনায় কি যুক্ত ছিল টলিউডের কেউ? কেউ কি তাকে নেপথ্যে থেকে সাহায্য করছিল?
শুধু তা-ই নয়, কাঁধে গুলির বিষয়টি নিয়েও রহস্য ঘনীভূত হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, জুনিয়র কি পালানোর চেষ্টা করেছিলেন? সে জন্যই কি গুলি করা হয় তাঁকে? ভাড়াটে খুনি যদি এই কাজটি ঘটিয়ে থাকে, তা হলে মৃত্যু নিশ্চিত করতে বুকে বা পিঠে গুলি না চালানোর বদলে অন্যত্র কেন গুলি চালান হল? ‘ক্লোজ রেঞ্জ’ থেকে গুলি করেও কেন কাঁধে? এ রকম নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে জেরার তালিকা তৈরি করছে সিবিআই।
আরও খবর: কলকাতায় ‘গ্যাংওয়ার’, বহুতলের ছাদ থেকে এলোপাথাড়ি গুলি, আহত ২
আরও খবর: রহস্যের ৩ ঘণ্টা! প্রিয়াঙ্কাকে ফোন করল কে? কে ছিল জুনিয়রের বাইকে?