Jadavpur University Student death

যাদবপুরে র‌্যাগিং-মৃত্যু, জামিন নাকচ

নদিয়া থেকে বাংলায় স্নাতক শিক্ষাক্রমে পড়তে আসা মফস্‌সলের ছেলেটির বয়স আঠারোরও কম ছিল। মেন হস্টেলের তেতলা থেকে পড়ে তাঁর মৃত্যুর জেরে পকসো কোর্টে এখন ১৩ জন অভিযুক্তের বিচার প্রক্রিয়া চলছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫ ০৬:৪৭
Share:

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলে র‌্যাগিংয়ের জেরে ছাত্র-মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তদের বিষয়ে তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ ছ’মাসের মধ্যে শেষ করতে বলল কলকাতা হাই কোর্ট। সোমবার বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহরায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত অঙ্কন সরকারের জামিনের আবেদন নাকচ করে দেয়।

Advertisement

অঙ্কনের আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা বলেন, ‘‘ছেলেটি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র। তাঁর পড়ার ক্ষতি হচ্ছে।’’ কিন্তু র‌্যাগিং পুরোপুরি বন্ধ হওয়া উচিত বলে বিচারপতিরা মত প্রকাশ করেন। মৃত ছাত্রের পক্ষের আইনজীবী নভোনীল দে বলেন, ‘‘কলকাতা পুলিশের সিট জানিয়েছে, ছ’মাসের মধ্যে তারা তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহের কাজ শেষ করবে। র‌্যাগিংয়ের মতো গুরুতর অপরাধে অভিযুক্তদের জামিন না-হওয়াই কাম্য।’’ জামিন নাকচ করে বিচারপতিরা বলেন, ‘‘ছ’মাস বাদে অভিযুক্ত জামিনের আবেদন জানাতে পারবেন।’’ নদিয়া থেকে বাংলায় স্নাতক শিক্ষাক্রমে পড়তে আসা মফস্‌সলের ছেলেটির বয়স আঠারোরও কম ছিল। মেন হস্টেলের তেতলা থেকে পড়ে তাঁর মৃত্যুর জেরে পকসো কোর্টে এখন ১৩ জন অভিযুক্তের বিচার প্রক্রিয়া চলছে। এখনও ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ বাকি। তদন্তের এই পর্যায়ে অভিযুক্তেরা জামিন পেলে বিচার ধাক্কা খাবে বলে আইনজীবীদের একাংশের মত।

অভিযুক্তদের তরফে আইনজীবীরা আবার মনে করেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে র‌্যাগিং নতুন নয়। আজ যারা র‌্যাগিং-কাণ্ডে অভিযুক্ত, তারা নিজেরাও র‌্যাগিংয়ের শিকার। ব্যক্তি নয়, প্রচলিত ব্যবস্থাই দায়ী। তবে আদালত এ দিন ব্যক্তির ভূমিকাও ছোট করে দেখতে রাজি হয়নি। অভিযুক্তের আইনজীবী বলেন, ‘‘ছ’মাস বাদে ফের জামিনের আবেদন করা যেতে পারে।’’ মৃত ছাত্রের বাবা এ দিন হাই কোর্টে ছিলেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement