প্রতীকী ছবি।
কাজের প্রতি তাঁর অদম্য আগ্রহ মুখে প্রকাশ করতে পারেন না নাকতলার শিবশঙ্কর মজুমদার। কিন্তু ইন্টারভিউ বোর্ডে সেই ইচ্ছের কথা তাঁর বোঝাতে অসুবিধা হয়নি। দোভাষীর মাধ্যমে শিবশঙ্কর বুঝিয়ে দিয়েছেন, কাজের প্রতি তাঁর আগ্রহ কতটা। ওই যুবকের আশা, কোনও হোটেলে তিনি ব্যাক অফিসের কাজ পেয়ে যাবেন। একই ভাবে হুইলচেয়ার-বন্দি, মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা পীযূষ ঘোষের ইচ্ছে কোনও তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করার। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ পীযূষ কম্পিউটারের প্রশিক্ষণও নিয়েছেন।
শিবশঙ্কর এবং পীযূষ, দু’জনেই মূক ও বধির। তাঁদের মতো আরও অনেককে চাকরির সুযোগ দিতে রবিবার সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে ‘ভোকেশনাল রিহ্যাবিলেটেশন সেন্টার ফর হ্যান্ডিক্যাপ্ড’-এ হয়ে গেল এক চাকরি-মেলা। উদ্যোক্তা ছিল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। হোটেল-শিল্প থেকে শুরু করে তথ্যপ্রযুক্তি, বস্ত্র বিপণি-সহ বেশ কিছু নামী বহুজাতিক সংস্থার কর্তারা আবেদনকারীদের ইন্টারভিউ নেন।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির তরফে জানানো হয়েছে, এ দিন প্রায় আড়াইশো জনের মতো শারীরিক প্রতিবন্ধী ওই চাকরি-মেলায় ইন্টারভিউ দেন। চাকরি পেয়েছেন প্রায় ৭০ জন। সংগঠনের কর্ণধার জিতেন্দ্র আগরওয়াল বলেন, ‘‘সারা দেশ জুড়ে প্রতিবন্ধীদের কাজের সুযোগ বাড়ছে। তাঁদের প্রশিক্ষণও দিচ্ছে আমাদের সংস্থা।’’