প্রতীকী ছবি।
এক দিন পরে এলাকার পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। নতুন করে অশান্তি ছড়ায়নি। তবে সংঘর্ষের ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরেও আতঙ্ক কাটেনি নারায়ণপুরের শরৎ পল্লি-সহ কয়েকটি জায়গায়। টানা জারি রয়েছে পুলিশি টহল। ওই ঘটনায় ধৃত আট জনকে বুধবার ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হয়। আদালত সূত্রের খবর, পুলিশ অভিযুক্তদের মারধর করেছে বলে অভিযোগ করেন তাঁদের আইনজীবীরা। তখন সরকারের তরফে ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট দেখানো হয়। তাতে আঘাতের উল্লেখ ছিল না। এর পরে বিচারক ফের অভিযুক্তদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে রিপোর্ট দিতে বলেন। সেই মতো পরীক্ষা করে জমা দেওয়া রিপোর্টে আঘাত রয়েছে বলে জানানো হয়। এর পরেই বিধাননগরের পুলিশ কমিশনারকে বিচারক নির্দেশ দেন, অভিযুক্তদের মারধর করা হয়েছে কি না, তা ২১ অগস্টের মধ্যে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে। পাশাপাশি অভিযুক্তদের সাত দিনের জেল হেফাজতের আবেদন করা হয়েছিল। আদালত তিন দিনের জেল হেফাজত মঞ্জুর করেছে।
মঙ্গলবার যে ঘটনার সূত্র ধরে ওই সংঘর্ষ, সেই অটো এবং টোটোচালকদের সঙ্গে এ দিন বৈঠক করেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা। রাতে চিনার পার্কে সেই সভায় যোগ দেন ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, তৃণমূলের সমর্থনে নতুন করে অটো ইউনিয়ন তৈরি হতে চলেছে। যার সভাপতি হবেন তাপসবাবু।
এলাকাবাসী আরও অভিযোগ করেছেন, দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়ালেও এক পক্ষের লোকজনকেই ধরা হচ্ছে। ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তুলেছেন তাঁরা। যদিও অভিযোগ মানতে চায়নি বিধাননগর পুলিশ।
এক পুলিশকর্তা জানান, ঘটনায় আরও যারা জড়িত তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।