প্রতিবাদ: গাছ কাটা নিয়ে এসএফআই-এর পোস্টার। মঙ্গলবার, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। নিজস্ব চিত্র
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটি আস্ত মেহগনি গাছ কে বা কারা কেটে ফেলল, তা নিয়ে শেষ পর্যন্ত তদন্তের সিদ্ধান্ত নিলেন কর্তৃপক্ষ। রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু মঙ্গলবার জানিয়েছেন, কমিটিতে বন দফতরের বিশেষজ্ঞদের রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বন দফতরে এ বিষয়ে যোগাযোগও করেছেন।
এর আগে গত সপ্তাহে গাছ কাটার ব্যাপারটি নিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন রেজিস্ট্রার। উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেটালার্জিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কাছে একটি বড় মেহগনি গাছ কেউ বা কারা এপ্রিল মাসে কেটে ফেলেছিল। বেশ কিছু কাঠও সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (জুটা) প্রতিনিধিরা উপাচার্য সুরঞ্জনবাবুকে ক্যাম্পাসে লাগাতার চুরি-সহ বিভিন্ন বিষয়ে স্মারকলিপি দেন। তখন তাঁরা মেহগনি গাছ কেটে লোপাট হয়ে যাওয়ার ঘটনাটিরও উল্লেখ করেন।
ওই সময়ে উপাচার্যের দফতরে উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার। তিনি পরে দাবি করেন, তাঁর সামনেই জুটার প্রতিনিধিরা গাছ কাটা নিয়ে কাটমানির প্রসঙ্গ তুলেছিলেন।
বিষয়টি নিয়ে রেজিস্ট্রার এতই অপমানিত বোধ করেছিলেন যে, ওই ঘটনার পরে পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। যদিও জুটার তরফে জানানো হয়, কাটমানি শব্দটি এক বারের জন্যও বলা হয়নি।
এরই মধ্যে এসএফআইয়ের পক্ষ থেকে গাছ কাটার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্টার সাঁটা হয়েছে। সোমবার এ নিয়ে রেজিস্ট্রারের কাছেও যান এসএফআইয়ের কর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএফআই নেতা দেবরাজ দেবনাথ বলেন, ‘‘কর্তৃপক্ষ এই ঘটনায় কাকে আড়াল করতে চাইছেন, আমরা জানতে চাই। তিন মাস আগে গাছটি কাটা হল। আর বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দায়ের হল গত সপ্তাহে! এমন চলতে পারে না। আমার চাই নিরাপদ, দুর্নীতিমুক্ত ক্যাম্পাস।’’