Jadavpur University

ক্যাম্পাস থেকে চাকরি ৯৩ শতাংশের বেশি, নজির যাদবপুরে

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২৩ ০৮:০১
Share:

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।

ক্যাম্পাস ইন্টারভিউয়ে এ বার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের চাকরি পাওয়ার হার খুব ভাল। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, এ বার ক্যাম্পাস ইন্টারভিউয়ে চাকরি পাওয়ার হারে রেকর্ড হয়েছে। ৯৩ শতাংশের বেশি পড়ুয়া চাকরি পেয়েছেন। গত বার যা ছিল ৮৩ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক প্যাকেজ পেয়েছেন ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এক ছাত্র। তিনি একটি বহুজাতিক সংস্থায় ৮৫ লক্ষ টাকার বার্ষিক প্যাকেজ পেয়েছেন। এ ছাড়াও ৪৫ থেকে ৮০ লক্ষ টাকার বার্ষিক প্যাকেজে বিভিন্ন বিষয়ের ৩৫ জন চাকরি পেয়েছেন। গত বার অবশ্য ১০ জন ছাত্র এক কোটি টাকার উপরে প্যাকেজ পেয়েছিলেন। বরাবরই যাদবপুরের ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টি থেকেই সব চেয়ে বেশি পড়ুয়া চাকরি পান। দেখা যায়, কলা এবং বিজ্ঞান বিভাগে চাকরির বদলে উচ্চশিক্ষার দিকে যাওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। তবে, এ বার অর্থনীতির পড়ুয়াদের মধ্যে চাকরি পেয়েছেন প্রায় ৮১ শতাংশ।

Advertisement

প্লেসমেন্ট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক শমিতা ভট্টাচার্য শুক্রবার জানান, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে এক হাজারের কিছু বেশি পড়ুয়ার মধ্যে অনেকেই একাধিক চাকরির অফার পেয়েছেন। সাধারণত কম্পিউটার সায়েন্স, ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের পড়ুয়ারা ক্যাম্পাস ইন্টারভিউয়ে ভাল করেন। এ বারও তাঁরা তা করেছেন। গড়ে ২৩ লক্ষ টাকার প্যাকেজের চাকরি তাঁরা পেয়েছেন। এর সঙ্গে মেকানিক্যাল এবং ইনস্ট্রুমেন্টশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ১০০% প্লেসমেন্ট হয়েছে। ৯৫% এবং তার বেশি প্লেসমেন্ট হয়েছে সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল, কেমিক্যাল, কনস্ট্রাকশন, প্রিন্টিং টেকনোলজি, পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে। বিভিন্ন বহুজাতিক সংস্থা এলেও দেশের মধ্যে চাকরি পাওয়ার হার বেশি।

শমিতা বলেন, ‘‘গত কয়েক বছরের করোনার ধাক্কা সামলে যাদবপুরে যে এ বার এমন রেকর্ড চাকরি হয়েছে, তা সত্যিই গর্বের বিষয়।’’ কেন্দ্রের এনআইআরএফ র‌্যাঙ্কিংয়ে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে চতুর্থ স্থানে থাকা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় বেশ কয়েক বছর ধরে ভুগছে তীব্র অর্থসঙ্কটে। কেন্দ্র এবং রাজ্যের কাছ থেকে যথেষ্ট আর্থিক সাহায্য না পাওয়ার অভিযোগ বার বার উঠেছে। পূর্বতন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস প্রাক্তনীদের কাছেও সাহায্যের আবেদন জানিয়েছিলেন। সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘সীমিত আর্থিক ক্ষমতার মধ্যেও যাদবপুরে পঠনপাঠন যে কত উচ্চ মানের হয়, এই রেকর্ড ফল তার প্রমাণ। আমাদের ছাত্রছাত্রীদেরও এ এক অসাধারণ কৃতিত্ব।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement