যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের সময় চাওয়া হতে পারে পরিচয়পত্র। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া ‘বৈধ’ পরিচয়পত্র ছাড়া রাত ৮টা থেকে সকাল ৭টার মধ্যে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করা যাবে না। প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশ নিয়ে এ বার কড়া হলেন যাদবপুর কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার এ নিয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, হস্টেল-সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসানো হবে সিসি ক্যামেরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত বিভাগীয় প্রধান, নির্দেশক, বিভাগ, আধিকারিক, ইউনিট, শিক্ষক, কর্মী, আধিকারিক এবং ছাত্র সংগঠনকে পাঠানো হয়েছে ওই নির্দেশিকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ওই নির্দেশিকা আপলোড করার কথাও বলা হয়েছে। নির্দেশিকা জারির সঙ্গে সঙ্গে অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকেই কার্যকর করা হয়েছে নিয়ম। প্রসঙ্গত, ওই নির্দেশিকাতেই জানানো হয়েছে, ২০১৮ সালের ৯ অক্টোবরও এই নির্দেশ জারি করা হয়েছিল। প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুর পর তা আরও এক বার কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হল।
স্নেহমঞ্জুর সই করা ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষের দেওয়া ‘বৈধ’ পরিচয়পত্র ছাড়া রাত ৮টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশ করা যাবে না। পরিচয়পত্র দেখতে চাওয়া হলে তা দেখাতে বাধ্য থাকবেন পড়ুয়ারা। বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্য যাঁরা আসবেন, তাঁদের ক্ষেত্রে অন্য কোনও ‘বৈধ’ পরিচয়পত্র দেখিয়ে তবেই প্রবেশ করা যাবে ক্যাম্পাস চত্বরে। গেটে রাখা থাকবে নথিভুক্তকরণের খাতা (রেজিস্টার)। প্রবেশকারী যে ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন, তার বিষয়ে বিশদে সমস্ত তথ্য ওই খাতায় নথিভুক্ত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সব গাড়ি বা দু’চাকা প্রবেশ করবে, সেগুলিতে কর্তৃপক্ষের দেওয়া স্টিকার থাকতে হবে। যে সব গাড়িতে কর্তৃপক্ষের দেওয়া স্টিকার থাকবে না, প্রবেশের সময় সেগুলির রেজিস্ট্রেশন নম্বর গেটে জানাতে হবে। সে সব তথ্য রাখবেন নিরাপত্তারক্ষীরা। নিরাপত্তারক্ষীরা চাইলে গাড়িচালক এবং যাত্রীদের ‘বৈধ’ পরিচয়পত্র দেখাতে হবে।
একই সঙ্গে ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে মাদকের ব্যবহার, আইন-বিরোধী কাজকর্ম একেবারেই নিষিদ্ধ। কেউ এ সব করতে গিয়ে ধরা পড়লে তাঁর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।