—প্রতীকী ছবি।
পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে কি সিবিএসই কর্তৃপক্ষ অনলাইনে বোর্ডের পরীক্ষা নিতে চলেছেন? সিবিএসই-র অধীনস্থ স্কুলগুলিতে পাঠানো একটি বিজ্ঞপ্তি দেখে এমনটাই মনে করছেন কিছু অধ্যক্ষ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের পরীক্ষার জন্য কিছু পরিকাঠামো তৈরি করতে বলেছে সিবিএসই।
সিবিএসই বোর্ডের অধীনস্থ কয়েকটি স্কুলের অধ্যক্ষেরা জানাচ্ছেন, নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে বোর্ডের পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সিবিএসই বোর্ডের অধীনে থাকা জি ডি গোয়েন্কা পাবলিক স্কুলের অধ্যক্ষা সুজাতা চট্টোপাধ্যায় বললেন, ‘‘সফল নামে একটি প্রকল্পের অধীনে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের বিষয়ে নানা তথ্য চাওয়া হয়েছে। স্কুলের পরিকাঠামো কেমন, সেটাও জানতে চেয়েছে সিবিএসই বোর্ড। সেই সঙ্গে বোর্ডের তরফে একটি গুগল ফর্মের লিঙ্ক দিয়ে তা পূরণ করে এক সপ্তাহের মধ্যে পাঠাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া, পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের পরীক্ষার জন্য দ্রুত গতির ইন্টারনেট ও ল্যান সংযোগ থাকা অন্তত ৪০টি আধুনিক কম্পিউটার রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ সমস্ত পরিকাঠামো অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার জন্যই করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।’’
সুজাতা জানাচ্ছেন, সফল নামে ওই প্রকল্পটি গত বছর পরীক্ষামূলক ভাবে (পাইলট প্রকল্প) কয়েকটি সিবিএসই স্কুলের জন্য চালু করা হয়েছিল। চলতি বছরে সমস্ত স্কুলের জন্যই তা আবশ্যিক করা হয়েছে। ফলে, স্কুলগুলিতে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে বোর্ডের পরীক্ষার সম্ভাবনা আরও জোরালো হচ্ছে। তবে, সিআইএসসিই বোর্ডের অধীনে থাকা স্কুলগুলি জানিয়েছে, তাদের কাছে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে বোর্ডের পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে কোনও নির্দেশিকা আসেনি।
নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে স্কুলের কোন শ্রেণিতে কী পরীক্ষা নেওয়া হবে, তা নিয়ে নির্দেশিকা আগেই দিয়েছে সংশ্লিষ্ট বোর্ডগুলি। যদিও তা এখনও কার্যকর হয়নি স্কুলগুলিতে। অধ্যক্ষেরা জানাচ্ছেন, জাতীয় শিক্ষানীতির প্রস্তাবগুলি তখনই কার্যকর হবে, যখন কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক থেকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া যাবে। সেই সবুজ সঙ্কেত এখনও আসেনি। তবে, সিবিএসই এবং সিআইএসসিই বোর্ডের অধীনে থাকা স্কুলগুলি জানাচ্ছে, জাতীয় শিক্ষানীতিতে যে ভাবে পরীক্ষায় প্রশ্নের কাঠামো তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তা ইতিমধ্যেই কার্যকর হতে শুরু করেছে। যেমন, পাঠ্য বইয়ের ছকে বাঁধা পড়া থেকে একটু সরে গিয়ে ঘুরিয়ে প্রশ্ন বা হাতেকলমে শিখে আসা কোনও প্রজেক্ট থেকে প্রশ্ন এবং মাল্টিপল চয়েস প্রশ্নের (এমসিকিউ) উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে।
এক অধ্যক্ষ বলেন, ‘‘নতুন ধরনের প্রশ্নের ক্ষেত্রে বিশেষত্ব হল, বিষয়টি না বুঝে শুধু মুখস্থ করে সব উত্তর লেখা যাবে না।’’