প্রতীকী চিত্র।
পরীক্ষায় অকৃতকার্য ছাত্রের দ্বিতীয় দফায় সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষায় বসার প্রক্রিয়া ঘিরে অনিয়মের অভিযোগ উঠল। ঘটনাচক্রে, সেই বিতর্কে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি চিঠি।
২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানের অন্তর্গত ‘বিবেকানন্দ ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস’-এ (ভিআইএমএস) ভর্তি হন ব্যাচেলর অব ফিজিয়োথেরাপির এক ছাত্র। সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সূত্রের খবর, প্রথম বর্ষের পরীক্ষায় অ্যানাটমি, ইলেক্ট্রো থেরাপি এবং এক্সারসাইজ থেরাপিতে পাশ করতে পারেননি ওই ছাত্র। সেপ্টেম্বরে সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা হয়। কিন্তু তাতেও ছাত্রটি অ্যানাটমি এবং ইলেকট্রোথেরাপিতে অকৃতকার্য হন। নিয়ম মেনে ওই ছাত্র গত অক্টোবরে দ্বিতীয় বার সাপ্লিমেন্টারি দিয়েছেন। অথচ এ বিষয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ অন্ধকারে ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। সেখানেই বিতর্কের সূত্রপাত।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সূত্রের খবর, প্রথম বছর পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় সাপ্লিমেন্টারি দেওয়ার পাশাপাশি দ্বিতীয় বর্ষের ক্লাস করছিলেন ওই ছাত্র। প্রতিষ্ঠানের এক আধিকারিকের দাবি, দ্বিতীয় বর্ষে পাঁচ দিন ক্লাস করে ছাত্রটি আসা বন্ধ করেন। চলতি বছর সেপ্টেম্বরে স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি চিঠি পান ভিআইএমএস কর্তৃপক্ষ। সেখানে ছাত্রকে দ্বিতীয় বর্ষের ক্লাস করতে দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বক্তব্য, ছাত্র নিজে থেকে ক্লাসে আসা বন্ধ করেছিলেন। তা হলে অনুমতি দেওয়ার প্রসঙ্গ আসছে কোথা থেকে? নভেম্বরে স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় আরও একটি চিঠি দেয়। এ বার ক্লাস করার পাশাপাশি ‘ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্ট’ পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়ার কথাও বলা হয়।
এর পরেই পাল্টা চিঠি দিয়ে ভিআইএমএস কর্তৃপক্ষ জানতে চান, ওই ছাত্র তো তাঁর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষার ফর্ম পূরণই করেননি। ফলে দ্বিতীয় বার সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষায় বসলেন কী ভাবে? স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় ওই ছাত্রের জন্য কোনও অ্যাডমিট কার্ডও প্রতিষ্ঠানের কাছে পাঠায়নি।
প্রাক্তন স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা প্রদীপ মিত্র বলেন, ‘‘সত্যিই এমন ঘটে থাকলে অনিয়ম হয়েছে। প্রতিষ্ঠানকে এড়িয়ে ফর্ম পূরণ করাটা অনুচিত।’’ স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা
নিয়ামক ভারতচন্দ্র সাহা বলেন, ‘‘ফর্ম পূরণের জন্য কলেজ যে সমস্ত ছাত্রদের অনুমতি দিয়ে থাকে, শুধু তাঁরাই অনলাইনে সেটা করতে পারেন। ফলে প্রতিষ্ঠানকে এড়িয়ে ফর্ম পূরণ করার সম্ভাবনা খুবই কম। এ ক্ষেত্রে ঠিক কী ঘটেছে, তা খতিয়ে না দেখে কিছুই বলা সম্ভব নয়।’’