রসিকা জৈন-দময়ন্তী সেন। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
রসিকা জৈনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্তভার গেল আইপিএস অফিসার দময়ন্তী সেনের হাতে। আলিপুরের ব্যবসায়ী পরিবারের বধূর রহস্যমৃত্যুতে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠনের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি শম্পা সরকার। আইপিএস অফিসার দময়ন্তী সেনের নেতৃত্বে সিট গঠন করা হবে। ওই বধূর মৃত্যুতে তাঁর শ্বশুরবাড়ির হাত ছিল বলে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে বলেও সূত্রের খবর।
২০২১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি বাড়ির নীচে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল রসিকার দেহ। পরে তাঁর মৃত্যু হয়। রসিকা বহুতল থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলেই প্রাথমিক ভাবে মনে করে পুলিশ। তবে তদন্তও বেশি দূর এগোয়নি। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই রসিকার পরিবার তাঁর শ্বশুরবাড়ির দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে। পরিবারের দাবি, রসিকাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া হয়েছিল। বিশেষ করে রসিকার স্বামী কুশল অগ্রবালকে ওই ঘটনার জন্য দায়ী করেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের চাপে ফের তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এই ঘটনার পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র থাকতে পারে বলেও পুলিশ মনে করেছিল। সাংবাদিক বৈঠক করেও ওই একই অভিযোগ করেছিল রসিকার পরিবারের লোকজন। তাঁরা দ্রুত তদন্তের দাবিও জানিয়েছিলেন। আদালতের দ্বারস্থও হন তাঁরা।
২০২০ সালে আলিপুরের রাজা সন্তোষ রায় রোডের ব্যবসায়ী পরিবারের মেয়ে রসিকার সঙ্গে বিয়ে হয় আলিপুরেরই ডিএল খান রোডের সম্পন্ন ব্যবসায়ীর ছেলে কুশলের। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই রসিকার উপর অত্যাচার চালাতেন তাঁর স্বামী। মাদকাসক্ত হয়ে কুশল ওই বধূর উপর নির্যাতন করতেন বলেও অভিযোগ ওঠে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।