সরেজমিন: ঘটনাস্থলে তদন্তে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা। নরেন্দ্রপুরে। —ফাইল চিত্র।
সপ্তাহ পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু নরেন্দ্রপুরের বাগানবাড়িতে দম্পতি খুনের ঘটনায় এখনও কোনও সূত্র পেল না পুলিশ। মঙ্গলবার ডিআইজি (প্রেসিডেন্সি রেঞ্জ) রাজেশ যাদব ওই বাড়ির ঘরগুলি ফের ঘুরে দেখেন। প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ডিআইজি-র নেতৃত্বে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার ওই বাগানবাড়ির শৌচাগারে দু’টি সুটকেস থেকে উদ্ধার হয় প্রদীপ বিশ্বাস (৫৫) ও তাঁর স্ত্রী আল্পনা বিশ্বাসের (৪৪) দেহ। তদন্তে নেমে বাগানবাড়ির মালিক তথা আল্পনার জামাইবাবু দীপঙ্কর দে এবং তাঁর স্ত্রী সাক্ষী-সহ প্রায় জনা দশেক আত্মীয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। কিন্তু এখনও তেমন উল্লেখযোগ্য সূত্র মেলেনি।
প্রশ্ন উঠেছে, বাগানবাড়ির দখল নেওয়াকে কেন্দ্র করেই কি এই খুন? কারণ জানা গিয়েছে, দীপঙ্করবাবু ১৯৯৭ সালে ওই বাড়িটি কিনেছিলেন। সেটি দেখভালের দায়িত্ব ছিল প্রদীপ ও আল্পনার উপরে। সম্প্রতি সেখানে কারখানা খোলার পরিকল্পনা করেন দীপঙ্করের ভাইপো সমুদ্র। তদন্তে সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বারুইপুরের জেলা পুলিশ সুপার রশিদ মুনির খান। ওই এলাকায় জমির দাম এখন আকাশছোঁয়া। বাড়িটি বিক্রি নিয়ে দীপঙ্কর ও প্রদীপের সঙ্গে স্থানীয় কারও মনোমালিন্য হয়েছিল কি না, তা-ও দেখছেন তদন্তকারীরা। এ দিন পুলিশ সুপার-সহ ঘটনার তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে বৈঠকও করেন ডিআইজি।