প্রতীকী ছবি।
নিউ আলিপুরে বালিকার মৃত্যু-রহস্যের জট কাটল না চার দিন পরেও। কী ভাবে ওই বালিকা মারা গিয়েছে, তা স্পষ্ট নয় ময়না-তদন্তের রিপোর্টেও। সোমবার ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন হোমিসাইড বিভাগের গোয়েন্দারা। এসেছিল নিউ আলিপুর থানার পুলিশও।
বছর দশেকের ওই বালিকার পরিবারের তরফে এ দিনও বলা হয়েছে, মেয়েটি ভয় পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং তা থেকেই মারা যায়। ওই বালিকার দিদিমার দাবি, মৃত্যুর দিন সাতেক আগে ওই বালিকা হঠাৎ করে ভয় পেতে শুরু করে। সেই ভয় থেকেই সে শৌচাগারে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। গত সাত দিনে খাওয়াদাওয়াও খুব কমে গিয়েছিল তার। ফলে দুর্বল হয়ে পড়েছিল মেয়েটি। গত শুক্রবার সকালে ডাবের জল আর দু’চামচ ভাত খায় সে। তার পরে শুয়ে পড়ে। সে দিন খাওয়ার পরে বিছানাতেই প্রস্রাব হয়ে যায় তার। কোনও মতেই শৌচাগারে যেতে রাজি হয়নি মেয়েটি। পরে দুপুরের দিকে মেয়ের সাড়া না পেয়ে মা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
গত শুক্রবার বিকেলে নিউ আলিপুরের ই ব্লকের বাসিন্দা, বছর দশেকের ওই মেয়েটিকে বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তার দেহ পাঠানো হয় ময়না-তদন্তে। পরের দিন ময়না-তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অমীমাংসিত রেখে বলা হয়, ওই বালিকার গলার পিছনে হাল্কা একটা দাগ রয়েছে। অনেকটা শ্বাসরোধ করে মারার মতো দাগ। কিন্তু শ্বাসরোধ করে মৃত্যু হলে আরও যা যা চিহ্ন গলায় থাকে, তা নেই। সেই কারণেই ঘটনাস্থল ঘুরে দেখা এবং তদন্ত করা দরকার বলে ময়না-তদন্তের চিকিৎসক জানান।
সেই মতো এ দিন ফের ঘটনাস্থলে যায় নিউ আলিপুর থানার পুলিশ। হোমিসাইডের গোয়েন্দারাও আসেন। ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন তাঁরা। যদিও রাত পর্যন্ত ওই বালিকার মৃত্যুর কারণ অজানাই রয়ে গিয়েছে।