অগস্টেই কষা হয় ডাকাতির ছক

লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার দক্ষিণ বন্দর থানা এলাকা থেকে ট্যাক্সিটি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। ধৃত রাজেশ ট্যাক্সিটি চালাত। ওই দুষ্কৃতী দলের মূল পাণ্ডা অশোককে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। উদ্ধার হয়নি লুঠের সব জিনিসও। ২৫ সেপ্টেম্বরে ওই ঘটনার তেরো দিনের মাথায় রবিবার পাঁচ দুষ্কৃতী অর্পণ শিকারি, সুরজ সিংহ, সুনীল কুমার, পরেশ হালদার এবং রাজেশ রায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৭ ০১:২১
Share:

নিজেদের ফ্ল্যাটে মহুয়া ঘোষ (বাঁ দিকে) এবং রীতা ঘোষ। ফাইল চিত্র।

রীতিমতো আঁটঘাট বেঁধেই গড়িয়াহাট থানা এলাকার হিন্দুস্থান পার্কের বহুতলে ডাকাতি করেছিল দুষ্কৃতীরা। পঞ্চমীর সকালে ডাকাতির আগে তিন বার ওই আবাসনে ঘুরে গিয়েছিল তারা। তদন্তকারীদের দাবি, অগস্ট মাস থেকেই কষা ছিল ডাকাতির ছক। কিন্তু দুই বৃদ্ধার ভাই ই‌ংল্যান্ড থেকে এসে যাওয়ায় অপেক্ষা করতে হয় ডাকাতদের। ধৃতদের জেরা করে পুলিশের দাবি, পঞ্চমীর সকালে রাস্তা ফাঁকা থাকবে ভেবেই দলটি ট্যাক্সিতে চেপে এসে ডাকাতি করতে যায়।

Advertisement

লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার দক্ষিণ বন্দর থানা এলাকা থেকে ট্যাক্সিটি বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
ধৃত রাজেশ ট্যাক্সিটি চালাত। ওই দুষ্কৃতী দলের মূল পাণ্ডা অশোককে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। উদ্ধার হয়নি লুঠের সব জিনিসও। ২৫ সেপ্টেম্বরে ওই ঘটনার তেরো দিনের মাথায় রবিবার পাঁচ দুষ্কৃতী অর্পণ শিকারি, সুরজ সিংহ, সুনীল কুমার, পরেশ হালদার এবং রাজেশ রায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর মধ্যে অর্পণ মহুয়া ঘোষ ও রীতা ঘোষ নামে ওই দুই বৃদ্ধার ফ্ল্যাটে জল দিত। নিজের জিনিসও রাখত তাঁদের ফ্ল্যাটে। পুলিশ জানায়, ছক তৈরি করেছিল সে-ই।

পুলিশ সূত্রের খবর, ওই ফ্ল্যাটে গত পাঁচ বছর ধরে যাতায়াত অর্পণের। তদন্তকারীদের জেরার মুখে অপর্ণের দাবি, অশোক তার পরিচিত। ওই বাড়িতে প্রচুর টাকা রাখা আছে বলে সে-ই জানিয়েছিল অশোককে। এর পরেই অশোকের সঙ্গে মিলে ওই ডাকাতির ছক কষে সে।

Advertisement

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, অগস্টে অশোককে ওই আবাসনেও নিয়ে আসে অর্পণ। সব দিক দেখেই করা হয়েছিল ডাকাতির ছক। পুলিশ জানায়, ওই দিন ভোরে রাজেশের ট্যাক্সি করে পাঁচ জন আবাসনে আসে। অর্পণ প্রতিদিনের মতো জল বইবার ড্রাম ও বাঁশের বাঁক নিতে কলিং বেল বাজালে মহুয়াদেবী এসে দরজা খুলে দেন। ভারী এসে নিজের জিনিস নিয়ে বেরোলে মহুয়াদেবীই দরজা বন্ধ করতে যান। তখনই ঢুকে পড়ে ডাকাতেরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement