আগুনে পুড়ে যাওয়া এলাকা কাপড়ে ঢেকে কাজ চলছে কলকাতা বিমানবন্দরে। ছবি: সুমন বল্লভ।
কলকাতা বিমানবন্দরের টার্মিনালের ভিতরে বুধবার রাতের অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত শুরু করলেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার কলকাতা বিমানবন্দরের অধিকর্তা সি পট্টাভি বলেন, ‘‘কী ভাবে আগুন লাগল, কোথা থেকে আগুন লাগল এবং কী ব্যবস্থা নিলে পরবর্তী কালে এই ধরনের ঘটনা এড়ানো যাবে, মূলত সে সব জানতেই এই তদন্ত।’’
বুধবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ প্রথম আগুন দেখা যায় দোতলায় ‘ডিপার্চার’ এলাকায় ‘ডি’ পোর্টালের সামনে। অধিকর্তা বৃহস্পতিবার জানন, প্রতিটি পোর্টালের শেষে একটি করে ছোট ঘর আছে। উড়ান সংস্থার কর্মীরা ওই ঘর ব্যবহার করেন। সেখানে মূলত বোর্ডিং কার্ড, লাগেজ-ট্যাগ, কম্পিউটার-সহ অন্য জিনিসপত্র থাকে। অধিকর্তার কথায়, ‘‘প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, ওই ঘর থেকেই আগুন ছড়িয়েছিল। তবে আগুনের প্রকৃত উৎসস্থল খুঁজে বার করবেন তদন্ত কমিটির বিশেষজ্ঞেরা।’’
ওই রাতে এক ঘণ্টার মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে বিমানবন্দরের অত্যাধুনিক দমকল বাহিনী। তার আগে অবশ্য বিমানবন্দরে উপস্থিত কর্মী-আধিকারিকেরাও আগুননিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। বিমানবন্দরের হিসাব অনুযায়ী, ঘটনার রাতে সাড়ে ১০টায় উড়ান চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার আগে পর্যন্ত কলকাতা বিমানবন্দর থেকে প্রায় ৬টি উড়ান দেরিতে ছেড়েছে। অধিকর্তা কার্যত বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত বিমানবন্দরেই ছিলেন। তাঁর কথায়, ‘‘আগুন নেভাতে গিয়ে প্রচুর জল ব্যবহার করা হয়েছে। তা পরিষ্কার করে পোর্টাল চালু করতে কিছুটা সময় লেগেছে। ভিস্তারা ও স্পাইসজেট ওই পোর্টাল ব্যবহার করে। বুধবার রাতেই তাদের সরিয়ে অন্য পোর্টালে নিয়ে যাওয়া হয়।’’
এ দিন ভোর থেকে কলকাতা থেকে উড়ান পরিষেবা স্বাভাবিক ছিল। শুধু ‘ডি’ পোর্টালটি বন্ধ রাখা হয়। যদিও পরে রাতের দিকে সেই পোর্টালও চালু করা হয়। তার আগে সকালে পট্টাভি বলেন, ‘‘আগুন নেভাতে গিয়ে প্রচুর জল দিতে হয়েছিল। সেই জল সরাতে অনেক সময় লেগেছে। তা ছাড়াআগুন লাগার পরে ওই এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল। সেই সংযোগ ফিরিয়ে এনে ছোট ঘরটিকে আবার ব্যবহারযোগ্য করে তবে পোর্টাল চালু করা সম্ভব হবে।’’