চোরের ‘সঙ্কেত’ নিয়ে এখনও ধন্দ

২৪ ঘণ্টা পেরোলেও সল্টলেকে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চোরের লিখে যাওয়া সঙ্কেত উদ্ধার করা গেল না। তবে কিছু সূত্র হাতে এসেছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, চুরির পিছনে রয়েছে একাধিক ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করা ও ভাবমূর্তি নষ্ট করাই দুষ্কৃতীদের উদ্দেশ্য ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সল্টলেক শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০১৫ ০০:০৩
Share:

২৪ ঘণ্টা পেরোলেও সল্টলেকে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চোরের লিখে যাওয়া সঙ্কেত উদ্ধার করা গেল না। তবে কিছু সূত্র হাতে এসেছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, চুরির পিছনে রয়েছে একাধিক ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করা ও ভাবমূর্তি নষ্ট করাই দুষ্কৃতীদের উদ্দেশ্য ছিল।

Advertisement

শুক্রবার রাতে বিডি ব্লকের এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, টাকা চুরি হয়। পালানোর আগে কয়েক জায়গায় চোরেরা লিখে রেখে যায় ‘সিকেআইকে৪০০চোর’ এবং ‘এসএইচওডিআই, এসএইচওআই’। তদন্তকারীরা বলছেন, ওই সঙ্কেত উদ্ধার করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। তবে তদন্তে নেমে একাধিক বিষয়ে ধন্দে পড়েছে পুলিশ।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, গাড়ি চড়ে ওই অফিসে এসেছিল দুষ্কৃতীরা। গাড়ির হদিস পেতে ওই অফিসের আশপাশের সিসিটিভির ফুটেজ দেখছে পুলিশ। কিন্তু রাতে অফিসের সামনে গাড়ি
এলে নিরাপত্তারক্ষীর জানার কথা। সেখানেই ধন্দ। কারণ সেই রাতে নিরাপত্তারক্ষী ডিউটিতে ছিলেন না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের থেকে পুলিশ জেনেছে, দিনে ও রাতে দু’জন রক্ষী থাকেন। সূত্রের খবর, দায়িত্বে থাকা রক্ষী পুলিশকে জানিয়েছেন, রাতে বৃষ্টিতে তাঁর বাড়িতে জল জমার পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় তিনি বাড়ি চলে যান। তাই কাউকে জানাতে পারেননি।

Advertisement

তবে নির্দিষ্ট ভাবে যে কয়েকটি কম্পিউটার সামগ্রী নেওয়া হয়েছে তাতে তদন্তকারীদের অনুমান, দুষ্কৃতীরা প্রতিষ্ঠান বা অফিস সর্ম্পকে যাবতীয় তথ্য জানত। অফিসের সিসিটিভি যে খারাপ তাও জানত তারা। চুরির সময় নিয়েও তৈরি হয়েছে সংশয়। দুষ্কৃতীরা কার্ড পাঞ্চ করে অফিসে ঢুকলেও তারা কার্ড পেল কোথা থেকে, কখন সেই কার্ড পাঞ্চ করা হল, তা জানার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি, যে সব কম্পিউটার, ল্যাপটপ চুরি গিয়েছে, তাতে কী কী ধরণের তথ্য মজুত করা ছিল তাও জানার চেষ্টা চলছে।

প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কারও কোনও ব্যবসায়িক শত্রুতা আছে কি না, বা কাউকে ছাটাই করা নিয়ে কখনও কোনও গোলমাল হয়েছে কি না, তদন্তের স্বার্থে এমন নানা তথ্য সংগ্রহ করে এগোতে চাইছে পুলিশ। বিধাননগরের গোয়েন্দা প্রধান কঙ্করপ্রসাদ বারুই বলেন, ‘‘কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সিসিটিভির ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে পরিকল্পনা করেই একাধিক ব্যক্তি এই চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement