মিষ্টিমুখ: ধর্মতলার মিষ্টির দোকানে এক খুদে। নিজস্ব চিত্র
হাতে রসগোল্লা, আবার মুখে রসগোল্লা! সঙ্গে রসগোল্লায় বিশ্ব জয় করার সঙ্কল্প। বাংলার রসগোল্লার জিয়োগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন (জিআই) তকমা লাভের দু’বছর পূর্তির দিনে বৃহস্পতিবার খানিকটা সেই সঙ্কল্পেই যেন চাঙ্গা হয়ে উঠল বাংলার ছোট-বড় মিষ্টি বিপণি। বিকেলে বাগবাজারের গৌরীমাতা উদ্যানে পশ্চিমবঙ্গ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির ‘ভরসা-পূর্তি’র অনুষ্ঠানেও সেই সুরই শোনা গিয়েছে।
নামজাদা মিষ্টি-স্রষ্টাদের সঙ্গে ছিল কলকাতা ও হাওড়ার মেজো-সেজো মিষ্টি বিপণি। সকালে অবশ্য ধর্মতলায় রসগোল্লার ‘কলম্বাস’ নবীন দাশের উত্তরপুরুষ কে সি দাশের নামাঙ্কিত বিপণিতে পিছিয়ে থাকা শ্রেণির ছোট ছেলেমেয়েদের নিয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল মন্ত্রী শশী পাঁজার উপস্থিতিতে। নিউ টাউনের ইকো পার্কে হিডকো চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন তখন স্থানীয় একটি আবাসনের প্রবীণ নাগরিকদের নিয়ে রসগোল্লা-চর্চায় মেতেছেন। দিনটা আবার ‘বিশ্ব ডায়াবিটিস দিবস’ও। তবু রসগোল্লার টান যে বাঙালি মননে এক ফোঁটাও ফিকে হয়নি, তা মালুম হয়েছে। যদিও দু’বছরে এখনও ‘বাংলার রসগোল্লা’র জিআই লোগো মিষ্টি-স্রষ্টাদের হাতে হাতে তুলে দেওয়ার কাজটা শেষ করা যায়নি।
সরকারি এক কর্তা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ৮৭ জন মিষ্টি নির্মাতা লোগোর আবেদন করেছেন। বাংলার রসগোল্লার জিআই মাপকাঠি অনুযায়ী রসগোল্লা তৈরি করলে একটি বিশেষ লোগো পাবেন রসগোল্লা-স্রষ্টারা। তাতে ছোট-বড় সকলেরই বিপণনের সুবিধা হবে।
দু’বছর আগে বাংলার রসগোল্লার জিআই তকমা লাভের পরে অবশ্য ওড়িশা থেকে কয়েক জন বাংলার কিছু দাবির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে জিআই নথিভুক্তিকরণ দফতরে নালিশ করেন। সেই শুনানিতে তাঁদের আর্জি বাতিল হয়ে গিয়েছে গত মাসে। এখন জিআই লোগো হাতে নিয়ে বাংলার রসগোল্লা বিশ্ব বাজারে কত দূর এগোতে পারে, সেটাই দেখার।