যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।
র্যাগিংয়ের জেরে গত বছরের অগস্টে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত পড়ুয়া, গবেষকদের বিরুদ্ধে যে শাস্তির সুপারিশ করেছিল অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি, শুক্রবার তা কর্মসমিতির বৈঠকে গৃহীত হল। ওই রিপোর্টে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র সংসদ ফেটসু-র তৎকালীন নেতা অরিত্র মজুমদারকে ছ’মাস সাসপেন্ড করার কথা বলা হয়েছিল। এ দিন বৈঠকে প্রস্তাব ওঠে, তাঁর ফেলোশিপও বন্ধ করা হোক।
সূত্রের খবর, আধিকারিক ও কর্মীদের নিয়ে রিপোর্টে যে সুপারিশ করা হয়েছে, সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ পরে সিদ্ধান্ত নেবেন। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ার অ্যান্টি-র্যাগিং কমিটির নেই বলে জানানো হয়েছিল। অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির এই রিপোর্ট অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াড ও অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির বৈঠকে মান্যতা পেলেও সেখানে অন্তর্বর্তী উপাচার্যের স্বাক্ষর না থাকায় এত দিন কর্মসমিতিতে পেশ করা যায়নি।
গত ডিসেম্বরে অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির বৈঠকে অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির রিপোর্ট এবং তার ভিত্তিতে অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াডের সুপারিশ অনুযায়ী পাঁচ ছাত্রকে চারটি সিমেস্টারের জন্য সাসপেন্ড এবং হস্টেল থেকে সারা জীবনের মতো বহিষ্কারের বিষয়টি মান্যতা পায়। সেই সঙ্গে ২৫ জন ছাত্রকে একটি সিমেস্টারের জন্য সাসপেন্ড এবং হস্টেল থেকে সারা জীবনের জন্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ফেটসু-র প্রাক্তন চেয়ারপার্সন অরিত্র মজুমদারকে ছ’মাস সাসপেন্ড করার কথা বলা হয়েছিল। ফেটসুর নেতা সৈকত শিট এবং গৌরব দাসকে সারা জীবনের মতো ক্যাম্পাসে না ঢুকতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
এ দিন কর্মসমিতির বৈঠকের শুরুতেই ছাত্র-মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে দোষী সাব্যস্তদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি-সহ অন্যান্য দাবিতে স্মারকলিপি দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি (জুটা)। একই দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়া হয় তিনটি ফ্যাকাল্টির ছাত্র সংসদের তরফেও।