Hepatitis B and Hepatitis C

হেপাটাইটিস বি এবং সি রোগীর তথ্য সরকারকে জানাতে নির্দেশ

রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ১ শতাংশ হেপাটাইটিস-বি এবং ০.৩ থেকে ০.৫ শতাংশ হেপাটাইটিস-সি রোগে আক্রান্ত। ওই দুই সংক্রমণকে ‘নোটিফায়েবল ডিজ়িজ়’ হিসেবে চিহ্নিত করা সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২৩ ০৬:৩৫
Share:

হেপাটাইটিস-বি এবং হেপাটাইটিস-সি এই দু’টি সংক্রমণকে ‘নোটিফায়াবল ডিজ়িজ়’ বলে ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। প্রতীকী ছবি।

দেশ থেকে হেপাটাইটিস-বি এবং হেপাটাইটিস-সি এই দুই রোগ আগামী সাত বছরের মধ্যে দূরীকরণের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য হয়েছে। অথচ, দুই ভাইরাসের শিকার হয়ে কত জন সংক্রমণ বয়ে বেড়াচ্ছেন, সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণাই নেই স্বাস্থ্য দফতরের কাছে! তাই, এ বার থেকে ওই দু’টি সংক্রমণকে ‘নোটিফায়াবল ডিজ়িজ়’ বলে ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। যাতে, নতুন রোগীর সন্ধান পেলেই তা জানতে পারে স্বাস্থ্য দফতরও।

Advertisement

হেপাটোলজিস্ট অভিজিৎ চৌধুরী জানাচ্ছেন, রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ১ শতাংশ হেপাটাইটিস-বি এবং ০.৩ থেকে ০.৫ শতাংশ হেপাটাইটিস-সি রোগে আক্রান্ত। তাঁর কথায়, ‘‘ওই দুই সংক্রমণকে ‘নোটিফায়েবল ডিজ়িজ়’ হিসেবে চিহ্নিত করা সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। সরকারের কাছে রোগের তথ্য ভান্ডার থাকলে জনস্বাস্থ্যের বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ সম্ভব।’’

যকৃতের রোগের চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, প্রকৃত সংক্রমিতের তথ্য থাকলে, দু’টি সংক্রমণ প্রতিরোধেই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করা যাবে। কারণ, এই দু’টি ভাইরাল সংক্রমণের কারণেই বেশি যকৃতের ক্যানসার ও সিরোসিস অব লিভারের রোগী দেখা যায়। স্বাস্থ্যকর্তারা জানাচ্ছেন, সরকারি বা বেসরকারি ক্ষেত্রে ওই দুই সংক্রমণের নতুন রোগী চিহ্নিত হলে স্বাস্থ্য দফতরকে তথ্য পাঠাতে হবে।

Advertisement

শুক্রবার বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বা উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (২) এবং কলকাতা পুরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের অধীনে থাকা এমএসও-কে ওই দু’ধরনের রোগীর তথ্য স্বাস্থ্য দফতরের কাছে জানাতে হবে। বেসরকারি পরীক্ষাগারে হেপাটাইটিস-বি বা হেপাটাইটিস-সি সংক্রমণ চিহ্নিত হলে, তাও জানাতে হবে। বেসরকারি হাসপাতালে বা চিকিৎসকের কাছে এমন রোগী গেলে তা-ও স্বাস্থ্য দফতরকে জানাতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement